রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক বিজিবি

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪

মিয়ানমারে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে রোহিঙ্গারা ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে নাফ নদে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফ নদ সীমান্তে উন্নতমানের স্পিডবোট দিয়ে জালিয়ার দ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের-২ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘নাফ নদ অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কোনও লোকজন যাতে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। টেকনাফের সীমান্ত পয়েন্টে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে নাফ নদ সীমান্তে বিজিবির তিনটি স্পিডবোটের টহল অব্যাহত আছে। মিয়ানমারের কোনও নাগরিককে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’

এদিকে, মিয়ানমারের মংডু থেকে ছোট-বড় ট্রলারে করে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা।

একজন রোহিঙ্গাও যাতে সীমান্ত দিয়ে ডুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি উল্লেখ করে অধিনায়ক আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে লোকজন অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নতুন করে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। সোমবার পর্যন্ত ১৩৭ জনকে প্রতিহত করা হয়েছে।’

এর আগে রবিবার সকালে ঘুমধুম ও উখিয়ার সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শনে যান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. শাহিন ইমরান ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম। পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, আসন্ন এসএসসিতে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের পরিবর্তে ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করেছে আরাকান আর্মিসহ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এর মধ্যে তারা কোনও কোনও সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপির ২৩০ সদস্য। পরে তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।