ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যা ঠেকানোর নির্দেশ আইসিজের

জানুয়ারি ২৬, ২০২৪

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় গণহত্যা ঠেকাতে সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আদালতটির বিচারক হোয়ান ই ডনোঘুয়ে এই আদেশ দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

গাজা উপত্যকায় মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে ইসরায়েল ও সংশ্লিষ্টদের আদেশ দিয়েছেন আইসিজে। কিন্তু একটি যুদ্ধবিরতি বা ইসরায়েলি অভিযান বন্ধের কোনও নির্দেশ দেননি।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে আইসিজেতে একটি মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই সপ্তাহ আগে এই মামলার বিচার শুরু হয়। তখন শুনানিতে উভয় দেশই অংশ নেয়। এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। দক্ষিণ আফ্রিকা জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে গাজায় অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিতে আদালতের কাছে আবেদন করে। এই আবেদনের আলোকে শুক্রবার এই অন্তর্বর্তী আদেশ দিলেন আদালত।

বিচারক ডনোঘুয়ে বলেছেন, আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় যেসব কর্মকাণ্ড রয়েছে সেগুলো বন্ধে নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে সব পদক্ষেপ নিতে হবে ইসরায়েলকে।

তিনি আরও বলেছেন, গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করে এমন কোনও পদক্ষেপ যেন ইসরায়েলি সেনারা না নেয় এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। গণহত্যায় উসকানি দাতাদের শাস্তি দিতে হবে।

গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জরুরি পদক্ষেপও ইসরায়েলকে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।

দক্ষিণ আফ্রিকাও এই অন্তর্বর্তী আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে।

আইসিজের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও রাষ্ট্র যে আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এটির পক্ষে এই আদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের করা হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল সেনাবাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৩৭৭ জন।