মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিত করলো সুপ্রিম কোর্ট

আগস্ট ৪, ২০২৩

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মোদি উপাধী নিয়ে করা মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার রায় স্থগিত করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৯ সালে একটি নির্বাচনি প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপাধি নিয়ে মন্তব্যের মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার এই সাজা স্থগিত করলো সর্বোচ্চ আদালত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর রাহুল লোকসভার সদস্যপদ হারিয়েছিলেন। শুক্রবারের রায়ে তিনি তা ফিরে পাবেন এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারবেন।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ রাহুল গান্ধীর অযোগ্যতা প্রত্যাহার করার পর তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হতে পারবেন। লোকসভার সাবেক মহাসচিব পিডিটি আচার্য্য বলেছেন, এটি দ্রুত করা হবে। সোমবার থেকে চলমান পার্লামেন্টের অধিবেশনে রাহুল যোগ দিতে পারবেন।

তিনি আরও বলেছেন, যদি তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তি না হয় তবে তিনি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্য হবেন।

সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে, বিচারিক আদালতে মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার পর্যাপ্ত কারণ ও পটভূমি ছিল না।

অবশ্য সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে রাহুলকে রাজনৈতিক বক্তব্যের সময় আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

২৩ মার্চ সুরাটের সিজেএম আদালত ‘মোদি উপাধি’ সম্পর্কে ২০১৯ সালে করা মন্তব্যের জেরে মানহানি মামলায় রাহুলকে ৫০৪ ধারার অধীনে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকের কোলারে একটি সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘সব চোরেদের পদবী কীভাবে মোদি হতে পারে?’

এ নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি।