দখল ও দূষণ রোধসহ নদী রক্ষায় কমিশন সংসদে

এপ্রিল ২৩, ২০১৩

river20120702230722ঢাকা জার্নাল: নদী রক্ষায় কমিশন গঠন করতে জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন, ২০১৩’ বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

চেয়ারম্যানকে প্রধান নির্বাহি করে একজন মহিলা সদস্যসহ কমপক্ষে ৫ জন সদস্য নিয়ে এই কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে বিলে।

বিলে আইনের উদ্যেশ্য পূরণে একটি তহবিল গঠন করার কথাও বলা হয়েছে। এই তহবিলের নাম হবে ‘জাতীয় নাদী রক্ষা কমিশন তহবিল’।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে নদী রক্ষা কমিশন আইনের বিলটি উত্থাপন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

বিলটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠিত হবে। কমিশনের কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। প্রয়োজনে সরকারের অনুমোদন নিয়ে শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে।

কমিশনে একজন চেয়ারম্যান ও পাঁচজন সদস্য থাকবেন। পাঁচ সদস্যের একজন হবেন সার্বক্ষণিক, চারজন অবৈতনিক। সদস্যদের মধ্যে একজন নদী অথবা পানি বিশেষজ্ঞ, একজন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, একজন নদী প্রকৌশলী, একজন মানবাধিকারকর্মী বা আইনবিদ থাকবেন। আর একজন হবেন নারী সদস্য।

চেয়ারম্যান হবেন কমিশনের প্রধান নির্বাহী।

চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগের জন্য ছয় সদস্যের একটি বাছাই কমিটি করা হবে। কমিটির প্রধান হবেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব। কমিটির সুপারিশে কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নিয়োগ পাবেন। এর কার্যকাল হবে তিন বছর। একই ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।

কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার ও সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিল কি না, তা জানার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে কমিশনকে। সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া না হলে, তা কমিশন রাষ্ট্রপতিকে জানাবে। প্রতিবছর ৩১ মার্চের মধ্যে কমিশন তার আগের বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে প্রতিবেদন দেবে।

নদীকে নৌ-পরিবহনযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলাসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকছে নদী রক্ষা কমিশন আইনে।

নদী নিয়ে গবেষণা, নদীর পরিবেশগত ভারসাম্য ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, নদী রক্ষায় স্বল্প ও দীর্ঘকালীণ পরিকল্পনা নেওয়া এবং নদী রক্ষার্থে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম নেবে কমিশন। নদীর সঙ্গে সংশি¬ষ্ট সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে অবৈধ দখলমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে সরকারকে কমিশিন সুপারিশ করবে।

কমিশন আইনে নদ-নদী দখলমুক্ত করা, তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদী খনন, পানি দূষণমুক্ত রাখা, নদী সংরক্ষণ, নদীর গতি প্রবাহ সাভবাবিক রাখাসহ আটটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে নদী রক্ষা কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে।

ভোটার তালিকা আইন সংশোধনে বিল
নামের সাথে পেশা, উপাধি, কর্মজীবনের ডিগ্রী বা কোন ধরণের খেতাব লেখা বন্ধের বিধান রেখে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ভোটার তালিকা (সংশোধন) আইন-২০১৩ নামের একটি বিল আনা হয়েছে।

বিলটি যাচাই-বাছাই করে দুই দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ-সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইনে নামের কোন সংজ্ঞা না থাকার সুযোগে ভোটার তালিকাভুক্তির সময়ে বা তালিকাভুক্তির পর তালিকাভুক্ত ভোটারগণ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, তাদের স্ব স্ব নামের সাথে শিক্ষা, পেশা, কর্মজীবনে অর্জিত বিভিন্ন ডিগ্রী, সার্টিফিকেট, উপাধি ও খেতাব অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন। ফলে ভোটারের সঠিক নাম নির্ধারণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এজন্য ভোটারের শুদ্ধ নাম নির্ধারণ ও ডাটাবেজে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বিলে উক্ত আইন সংশোধনের মাধ্যমে নামের সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।

এছাড়া ‘এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুলাইজেশন বিল ২০১৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ২৩, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.