পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন রাখতে নামছে সেনাবাহিনী

জুন ৯, ২০২০

রাজধানী ঢাকার পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় লকডাউন (অবরুদ্ধ অবস্থা) কার্যকর করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনা টহল যুক্ত করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৯ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পূর্ব রাজাবাজার এলাকা আজ দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সম্পূর্ণ লকডাউন করা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটি নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে সহযোগিতার জন্য সেনা সদস্যরা মাঠপর্যায়ে কাজ করবে। এজন্য এলাকাটিতে থাকছে সেনাবাহিনীর টহল।

লকডাউন থাকাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বিভিন্ন বিষয়ে বিধিনিষেধ থাকবে। জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। রাজাবাজারের আটটি প্রবেশ ও বের হওয়ার সাতটি পথ পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য খোলা থাকবে একটি পথ।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশা, মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে করোনার প্রকোপ কমে আসবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগটি ছড়ানোর ক্ষমতা সাধারণত ১৪ দিন ধরা হয়। এ কারণে পূর্ব রাজাবাজারে আপাতত ১৪ দিন চলাচল বন্ধ থাকবে। তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না হলে ২১ দিন পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থা থাকতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের সময় এলাকা থেকে কাউকে বের হতে বা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে ডিএনসিসি। সংস্থাটির মেয়রের নেতৃত্বে স্থানীয় কাউন্সিলর ও তাদের লোকজন এ দায়িত্ব সামলাবেন। এছাড়া এলাকার ভেতরেই এসব পণ্য ভ্যানে বিক্রি করা হতে পারে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি দিলেও কাজ হয়নি। কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন এলাকাকে রেড (লাল), ইয়েলো (হলুদ) ও গ্রিন (সবুজ) জোনে ভাগ করে লকডাউনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বাস্থ্যবিভাগ জানিয়েছে, কোনও এলাকায় প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০-৪০ জন হলে সেই এলাকা রেড জোন হিসেবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। প্রতিটি এলাকার ম্যাপ নির্ধারণের মাধ্যমে লকডাউন করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া কার্যক্রমটি সফল হলে পরের সপ্তাহ থেকে সামগ্রিক পরিকল্পনা করে মাঠে নেমে পড়বেন সংশ্লিষ্টরা।