ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়ন চান সাদেক খান

অক্টোবর ২৭, ২০১৮

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর) আসনে নৌকার কান্ডারী হতে চান ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. সাদেক খান। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জনপ্রিয় এনেতাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকার ভোটাররা। দলমত নির্বিশেষে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে ইতোমধ্যে মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে তিনি। এ আসনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভোটার রয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী।

ঢাকা ১৩ আসনের এলাকার প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে সাদেক খানের প্রচারনা। আবার বিভিন্ন বাসাবাড়ির দেয়ালেও নানান রং- বেরংয়ের ছবিসংবলিত পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সাথে আলাপ করে জানা গেছে, আলাহাজ্ব সাদেক খানের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান মোহাম্মদপুর এলাকা থেকেই। শিক্ষা জীবনে তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সদস্য হয়ে রাজনীতির হাতে খড়ি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ও ইতিহাসে মাস্টার্স করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন নির্দলীয়ভাবে। ১৯৫২ সাল থেকে আজও খান পরিবারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার চাচা, বড় ভাই, ছোট ভাই এবং তিনি চারবার ওয়ার্ড কমিশনার, দুইবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং ঐতিহাসিক জনতার মঞ্চের কারিগরের দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়ে একাধিক মামলা-হামলার শিকার হয়েও নেত্রী মুক্তি আন্দোলনে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেন।

১৯৯৬ সাল থেকে চারবার জাতীয় নির্বাচনে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রায়ের বাজার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন তিনি। পৈত্রিক সম্পত্তিতে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানসহ ৯টি সংযোগ সড়ক ও পানির পাম্প স্থাপন এবং ১১টি খেলার মাঠ, মসজিদ, স্কুল-কলেজ স্থাপন করা হয়। ওয়ার্ড থেকে মোহাম্মদপুর থানা আ.লীগের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মহানগর উত্তর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এবং শেখ জামালের স্কুল জীবনের সাথী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুও খান পরিবারের বাড়িতে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে আসা-যাওয়া করেছেন।

মোহাম্মদপুরের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-১৩ আসনে সাদেক খানকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান। ঢাকা সিটির ৩৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি রবিউল আলম বলেন, সাদেক খানের পৈত্রিক জমিতে বুদ্ধিজীবী কবরস্থান স্থাপিত হয়েছে এবং বছিলার মানুষ আজ নৌকা ছেড়ে গাড়িতে যাতায়াত করছে।
আ.লীগ সরকারের উন্নয়নের অংশীদার সাদেক খান, তিনি নেতাকর্মী প্রিয় এবং জনতার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন উপযুক্ত ব্যক্তি। সাধারণ মানুষ নেতা চায় না, সেবক চায়। সাদেক খানের পদচারণা মোহাম্মদপুরের মাটি ও মানুষের সাথে। তাই আমরা মনোনয়ন আশা করতেই পারি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে আমরা মনে করি।

মো. সাদেক খান বর্তমানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭৭ সালে মো. সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্ব কনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন ৪৭নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪নং ওয়ার্ড থেকে ৪ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

১৯৯৭ সালে ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেন। মো. সাদেক খান সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরেরও পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭নং ওয়ার্ড ও ১৯৯৬-১৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার রাজনৈতিক মামলার আসামি হন।

রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান নির্মাণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করেন মো. সাদেক খান। শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে তার মুক্তির দাবিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকে আজ অবধি সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে মো. সাদেক খান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

সাদেক খান বলেন, আমি ঢাকা-১৩ আসনের গণমানুষের প্রত্যাশায় মনোনয়ন আশা করছি। আমাকে যদি এ আসনের জনগণের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব দেন তাহলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকাকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করার চেষ্টা করব।

ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ২৭, ২০১৮।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.