ডা. সিরাজুল ইসলামের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮

ঢাকা জার্নাল: বিশিষ্ট সমাজসেবক, শিল্পপতি ও চিকিৎসক ও সুমনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত ডা. সিরাজুল ইসলামের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। তার নামে প্রতিষ্ঠিতি ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে এন্ড হসপিটাল লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।

স্মরণ সভায় বক্তারা বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেক্টরসহ বিভিন্ন বিষয়ে ডা. সিরাজুল ইসলামের অবদান তুলে ধরেন। তারা সকলেই ডা. সিরাজুল ইসলামের কর্মজীবনে পরিশ্রমী, মেধাবী, সৃজনশীল ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতি নিয়ে আলোচনা করেন।

বক্তারা বলেন, ডা. সিরাজুল ইসলাম প্রয়াত হলেও তার স্বপ্নগুলো বেঁচে আছেন। তাঁর চলে যাওয়ায় যে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। মানব সেবার উৎকর্ষে তিনি অনেকগুলো জনসেবা মূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সর্বদা সেবা ও সাহায্যের মনোভাব নিয়েই পথ চলতে হয়।

স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভ্রাতৃপ্রতীম পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) মহাসচিব প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ।

স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, আমার সঙ্গে ডা. সিরাজুল ইসলাম সাহেবের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। তিনি ছিলেন অতি মানবতাবাদী, দরদি ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী । কারও কোন প্রয়োজনে তার কাছ থেকে গেলে শূণ্য হাতে ফিরে গেছেন এমন কোন উদাহরণ নেই । তাঁর দরদী হৃদয় দিয়ে অন্যের দুঃখ কষ্ট বুঝতেন।

তিনি বলেন, ডা. সিরাজুল ইসলাম সাহেব ব্রান্ডকে পছন্দ করতেন । তার স্বপ্ন ছিল, স্বাস্থ্য সেবায় অবদান রাখবেন। ব্রান্ডের একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করবেন।তা আজ পূরণ হয়েছে। তাঁর স্বপ্নগুলো ছিল বাস্তবধর্মীও সময়োপযোগী।রণাঙ্গণের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাজের প্রতি একটু বেশী দায়বদ্ধতা ছিল।

তার স্মৃতি চারণ করে অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, তার স্মৃতিগুলো আমার কাছে এখনো জ্বলজ্বল করছে। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়ায় ডা. সিরাজুল ইসলাম নিজেই ইতিহাস। তার কর্মময় জীবনে তা দক্ষতার সাথে তিনি ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।তার অকালে যাওয়ায় অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় নি। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি কাজ করে যাচ্ছি।এ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন চিকিৎসকদের এ নেতা।

ডা. সিরাজুল ইসলামকে স্মরণ করতে সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার দেবনাথ আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন।তিনি বলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়ায় ডা. সিরাজুল ইসলাম সাহেবরা বঙ্গবন্ধুর কাছে আলাদা মর্যাদা পেতেন। ডা. সিরাজুল ইসলাম সাহেবদের দিয়েই বঙ্গবন্ধু মিটফোর্ট মেডিকেল স্কুলকে মেডিকেল কলেজে রুপান্তর করেন।

ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.এএফএম শাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনা ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ বাকী, ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. মঞ্জুরুল কাদের , এনিসথিওলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মেহতাব উল ওদুদ খান, হাসপাতালটির পরিচালক ডা. আব্দুল মালেক মৃধা প্রমুখ।
.
ডা. সিরাজুল ইসলাম ১৯৫৩ সালের ১মার্চ নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের গোমাতলী গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদী জেলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.