ফাইনালে বাংলাদেশ

মার্চ ১৬, ২০১৮

ঢাকা জার্নাল: সাকিব আল হাসানের ফেরা নিয়ে অনেক গুঞ্জনই ছিল। শেষ পর্যন্ত রাজসিক প্রত্যাবর্তনই করলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অনেক উত্তেজনার ম্যাচে তার নেতৃত্বেই শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

এমনই এক ম্যাচ ছিল যার উত্তাপ ছিল চরমে। তাই ম্যাচটিকে বলা হচ্ছিল অঘোষিত সেমিফাইনাল। একটি ম্যাচ জিতলেই স্বপ্নের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তাই ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে ১ বল হাতে রেখে।
শুরুটা অবশ্য হতাশার ছিল লাল-সবুজদের। শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। এই ৩৩ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অবশ্য বাংলাদেশকে আশাহত হতে দেননি মুশফিক-তামিম জুটি। যদিও ১৩তম ওভারে ৬৪ রানের এই জুটি ভেঙে দেন আপোনসো। আপোনসোর বলে থিসারাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মুশফিক। তার আগে করেন ২৮ রান।
এরপর ফিফটি করেন তামিম ইকবাল। কিন্তু মনোযাগ আর রাখতে পারেননি। গুনাথিলাকার বলে গ্ল্যাভসবন্দি হয়ে ফেরেন এরপরেই। বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৫ রান।

এর আগে দ্বিতীয় ওভারে আকিলা ধনাঞ্জয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। রানের চাকা সচল থাকলেও থিতু হতে পারেননি সাব্বির রহমান। ১৩ রানে স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেছেন।

অঘোষিত সেমিফাইনালে শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের চেপে ধরা বোলিংয়ে টসে হেরে খেলতে নেমে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। যদিও শেষটা হয়েছে এর উল্টো। থিসারা পেরেরা ও কুসল পেরেরার দুর্দান্ত জুটিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।

চোট কাটিয়ে খেলতে নেমেই উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনালে উঁচিয়ে মারতে গিয়ে তালুবন্দি হয়েছেন ওপেনার গুনাথিলাকা।

বল দিয়ে এরপর লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে ডট বলের সংখ্যা বাড়াচ্ছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে ধৈর্য্য হারা হয়ে তুলে মারতে গিয়েই ১১ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুসল মেন্ডিস। এরপর রানের প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন উপুল থারাঙ্গা। নতুন নামা শানাকাকেও থিতু হতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। মুশফিকের গ্ল্যাভসবন্দি করে বিদায় দেন তাকে।

রানের চাকা এরপরেও সচল করতে পারছিল না লঙ্কানরা। মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে সাজঘরে ফেরেন জীবন মেন্ডিস। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারানো লঙ্কানদের ইনিংসে প্রাণ ফেরায় কুসল পেরেরা ও থিসারা পেরারা জুটি। এই জুটিতেই আসে ৯৭ রান। গুরুত্বপূর্ণ ‍জুটিকে ১৯তম ওভারে ভাঙেন সৌম্য সরকার। তার বলে ক্যাচ দিয়ে ৪০ বলে ৬১ রানে ফেরেন পেরেরা। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছয়। রানের চাকা সমৃদ্ধ করে শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ উঠিয়ে ফিরে যান থিসারা পেরেরা। ৩৭ বলে ৫৮ রানে ফেরেন থিসারা। যাতে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।

সাকিব ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ৩৯ রান দিয়ে দুটি নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ১৬, ২০১৮।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.