নেপালের হাসপাতালে মোট লাশ ৪৯

মার্চ ১৬, ২০১৮

ঢাকা জার্নাল: নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। সব মরদেহ রাখা হয়েছে ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে। শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাওয়া চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলে আছেন তিনি।

ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, নিহত ৪৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও কোনও লাশ শনাক্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘আগামীকাল (শনিবার) থেকে আমরা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু করবো।’

বাংলাদেশের এই চিকিৎসকের আশা, আগামী ১৮ মার্চ বা ১৯ মার্চ শনাক্তকরণের পর মরদেহগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। নেপাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গত ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগ-মুহূর্তে পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন ওই ফ্লাইটে। এর মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৬ জন ও নেপালের ২১ জন। এছাড়া চীন ও মালদ্বীপের একজন করে যাত্রী নিহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি ও ১২ জন নেপালের নাগরিক।

ওই ফ্লাইটে থাকা আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচ জন নেপালের হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের মধ্যে রেজওয়ানুলকে কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতাল থেকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। আর শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদীর ভাবি আলমুন নাহার অ্যানি কাঠমান্ডুর কেএমসি থেকে দেশে ফিরেছেন। তাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে। সৌজন্যে- বাংলা ট্রিবিউন।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ২০১৮।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.