শিক্ষা-স্বাস্থ্যে রমজানপুরকে আধুনিক গ্রামে পরিণত করছেন আব্দুস সোবহান গোলাপ

মার্চ ১৪, ২০১৮

ঢাকা জার্নাল: তথ্যপ্রযুক্তি, জ্ঞান–বিজ্ঞানে বিশ্ব তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলােদশ। প্রতিযোগিতা চলছে এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল কালকিনির রমজানপুরে উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ গড়ে তোলা হয়েছে।

যে গ্রামের কিছুদিন আগেও সন্ধার পর রাস্তায় মানুষ পাওয়া যেত না, নিশ্চিতভাবে পিছিয়ে থাকা এই গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গড়ে উঠছে হাসপাতাল, ব্যাংকসহ প্রায় ১৯টি প্রতিষ্ঠান।
আর এই প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তুলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।

কালকিনির রমজানপুর গ্রামটি অজপাড়াগা বলতে এখনো দ্বিধাবুধ করে না গ্রামের মানুষ। তবুও এগিয়ে চলছে গ্রামটি। আব্দুস সোবহান আশা করছেন কিছুদিনের মধ্যেই দেশের একমাত্র মডেল গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে রমজানপুর।
গ্রামটিতে সরেজমিনে গিয়ে নিতুন চিত্র চোখে পড়ে।

গামের ব্যবসায়ী খোকন তালুকদার বলেন, “এক আমাদের দুর্ভাগ্য,উন্নতমানের শিক্ষা তো দূরে থাক আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই ভঙ্গুর ছিল, এলাকার পুরো চিত্রই ছিল হতাশাজনক। তবে এখানকার শিক্ষাব্যবস্থার বর্তমান চিত্র দেখে আশাবাদী হওয়াটা সাভাবিক। এই গ্রামের আমূল সংস্কারের কারণে গ্রামের ছেলেমেয়েরা সম্ভব সঠিক জায়গায় পৌঁছাচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে গ্রামের প্রত্যেকটি ছেলেমেযেকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোিগতায় টিকিয়ে রাখতে আব্দুস সোবহান গোলাপ তার মায়ের নামে গ্রামটিতে গড়ে তুলেছেন আনারুন্নেসা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট। পাশাপাশি একই বাউন্ডারিতে রয়েছে নিজের নামে ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।

শিশু বয়স থেকে ছাত্রছাত্রীদের মেধাবী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাবার নামে গড়ে তুলা আলহাজ্ব তৈয়ব আলী শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। সরকারি করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। গড়ে তুলেছেন উত্তর রমজানপুর মর্ডান একাডেমি (জুনিয়র)।
চলতি বছর জাতীয় প্রাথমিক বৃত্তিতে সারা দেশে প্রথমসহ মাদারীপূর জেলায় দ্বিতীয়ে শ্রেণি পর‌্যায়ে মাদারীপূরে মাত্র পাঁচটি বৃত্তি আসলেও আলহাজ্ব তৈয়ব আলী শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পেয়েছে চারটি। যা মাদারীপূর জেলায় অনন্য।

শিশু থেকে শুরু করে গ্রামের যুব সমাজের প্রত্যেকের তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞন ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। স্কুল-কলেজের পাশাপশি গড়ে তুলেছেন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। যেখানে ১৮০ জন স্বল্প মূল্যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর বাইরে চাকরি প্রত্যাশী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ, পাসপোর্টসহ সব ধরনের ইন্টার্নেট সুবিধা দিতে রমজানপুরের এই সব প্রতিষ্ঠানের পাশেই সরকারি ভাবে ইশান ডিজিটাল ল্যাব করেছেন আব্দুস সোবহান গোলাপ।

গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত প্রত্যেকটি মানুষের জীবন সংগ্রাম সহজ করতে এই ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি তিনি গড়ে তুলেছেন ঢাক বিভাগের ই-পোষ্ট অফিস, সাবরেজিষ্ট্রার অফিস, কৃষি ব্যাংকের শাখা, ইভান ইন্টর্নেট সার্ভিস টাওয়ার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষিত স্বনামধন্য লোকদের আনাগোনা বাড়াতে প্রতিষ্ঠানের পাশেই গড়ে তুলেছেন ইসলামিক মিশন হাসপাতাল। বর্তমানে এটি ৫০ শয়্যা বিশিষ্ট ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্সে রুপান্তর হচ্ছে, ইতোমধ্যে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেছে।

স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের ছাত্র শিক্ষকতের আবাসিক সুবিধা দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশেই গড়ে তুলেছেন শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন ও শিক্ষার্থীদের জন্য মোহাম্মদ হোসেন মাস্টার ছাত্রাবাস।

এর বাইরে গুলশান আরা নার্সিং ইন্সটিটিউট, অনিশা মেডিকল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, কবির উদ্দিন আহম্মেদ হেলথ টেকনোলজি সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ডক্টর আব্দুস সোবহান গোলাপ।

প্রতিষ্ঠনগুলোর প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার বিশেষ সহকারী আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের কাছে প্রতিষ্ঠনগুলো গড়ে তুলার লক্ষ ও উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি। গ্রামের প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা আছে। গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ ভালো থাকলে আমি শান্তি পাই।”

তিনি আরো বলেন, “শহরের মতো অনেক সেবা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে যাতে করে রমজানপুরের কোনো শিক্ষার্থী বঞ্চিত না হয় এর জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।

ডিজিটাল শিক্ষা সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অর্জনের অনেকের মধ্যে অনাগ্রহ থাকলেও গ্রাম পর‌্যায়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে। তাতে করে কারিগরি শিক্ষার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে।”

রাজনীতির মধ্যে থেকে নিজেকে সমাজ সেবায় নিযুক্ত রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন,“আমি রাজনীতি করি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিশেষ সহকারী বানিয়েছেন। আমার নিজের চেয়ে এখন সুবিধা বঞ্চিত অজপাড়া গায়ের এই মানুষদের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। এখনই সময় গ্রামের মানুষের জন্য কিছু করার। তবে গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি তার মানে এই যে আমি তাদের কাছে নিজে এমপি মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। আমি গ্রামের মানুষের কাছ থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি, গ্রামটা দেশের ৬৪ হাজার গ্রামের মধ্যে অনন্য গ্রাম হবে এটাই চাই।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ১৪, ২০১৮।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.