ক্রিকেটারদের আচরণে বিব্রত বিসিবি
জানুয়ারি ২৪, ২০১৭ ঢাকা জার্নাল : ২০১৪ সালে নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছিল পেসার রুবেল হোসেনকে। এর ঠিক পরের বছর ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের মামলায় কারাবাস বরণ করেছেন আরেক টাইগার পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব। এবার আইসিটি আইনে এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় রিমান্ডে আছেন টাইগার অফ স্পিনার আরাফাত সানি।
গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ওই তরুণীর দায়ের করা মামলায় গত ২১ জানুয়ারি রাতে আমিন বাজার থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
লাল-সবুজের পতাকাবাহী টাইগার ক্রিকেটারদের এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিব্রতকর বলে জানালেন বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি জানান, ‘বিষয়টি অবশ্যই আমাদের জন্য বিব্রতকর এবং অনাকাঙ্খিত। আপনারা জানেন যে সানি আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একজন প্লেয়ার। তাই বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনকও। তবে ওর ঘটনাটি আমরা খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে গেছে তাই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারছি না।’
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে তিনি একথা বলেন।
…নারীঘটিত এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে উল্লেখ করে সুজন আরও বলেন, ‘বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগজনক এবং আমাদের ক্রিকেটের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুন্ন করে। ক্রিকেট বোর্ড কোনো গোয়েন্দা সংস্থা নয়, যে তাদের পেছনে সারাক্ষণ লেগে থাকবে।’
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিসিবির নেয়া কার্যক্রমগুলো ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা থেকে প্লেয়ারদের বিরত রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘আপনারা জানেন যে সম্প্রতি আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। বিভিন্ন শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে ক্রিকেটারদের বিষয়গুলো বোঝানো হয়েছে। আমি নিশ্চিত বিষয়টি ভবিষ্যতে তাদের উন্নয়নে সহায়ক হবে।’
ঢাকা জার্নাল ২৪ জানুয়ারি ২০১৭।