বিএনপির প্রস্তাব ইসি গঠনে সহায়ক হবে : রাষ্ট্রপতি

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬

ঢাকা জার্নাল : নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

বিএনপির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটির ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে। এরপর বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।’

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজকের আলোচনা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্চ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিএনপি যে প্রস্তাব দিয়েছে তা নির্বাচন কমিশন গঠনে সহায়ক হবে।’

আগামী ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। এজন্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা শুরু করেছেন তারই অংশ হিসেবে আজ বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো ইস্যু সমাধানের বহু পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, আপনাদের প্রস্তাবসমূহ পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এক ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে রাষ্ট্রপতি একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি সার্চ কমিটি ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে তার দলের প্রস্তাবসমূহ তুলে ধরেন। তিনি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গণপ্রতিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের জন্য তার দলের প্রস্তাবও তুলে ধরেন।

খালেদা জিয়া আলোচনার জন্য বিএনপিকে আহ্বান জানানোয় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির সাফল্য কামনা করেন।

তিনি বলেন, তার দল নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি আগামী ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সঙ্গে, ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে এবং ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সঙ্গে বৈঠক করবেন।

তথ্যসূত্র : বাসস

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.