ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে গাবতলীতে

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৬

gabtoliঢাকা জার্নাল: স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঈদের আগে শেষ অফিস করে বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ। ফলে, অফিস ছুটির পরপর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদ যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলী ও মাজার রোড ও কল্যাণপুরের বিভিন্ন কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালে ঘুরমুখো যাত্রীর ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। কাউন্টারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। বসার জায়গা না থাকায় রাস্তার ধারে ও চায়ের দোকানে গিজগিজ করছে মানুষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গাবতলীতে সকাল থেকে শিডিউল বিপর্যয় ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অব্যাহত থাকে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম,যশোর, খুলনা, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাসহ প্রত্যেক রুটের গাড়ি সময় মতো ঢাকা ছাড়তে পারছে না। চরম শিডিউল বিপর্যয়ের ফলে ঘরমুখো যাত্রীরা ক্লান্তি ও বিরক্ত হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছে।

এছাড়া কাউন্টারগুলোতে পর্যাপ্ত বসার স্থান না থাকা ব্যাগ ও বস্তা নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যেন, ঈদ যাত্রার অপর নাম সীমাহীন দুর্ভোগ। এছাড়া যারা আগে টিকিট কাটেনি, এসব যাত্রীদের টিকিটের জন্য কাউন্টারে কাউন্টারে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। আর এই সুযোগে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা নিজেদের ইচ্ছা মতো দাম হাতিয়ে নিচ্ছেন।

রংপুরগামী মামুন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ভাই টিকিট না কেটে কি যে ভুল করেছি। এখন ডাবল দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তার ওপর রাস্তায় জ্যাম কখন যে পৌঁছাবো।’

সকালের দিকে দক্ষিণাঞ্চল ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো সময় মতো ছাড়তে পারলেও দুপুরের পরপরেই শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে।

যশোরগামী ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বলেন, ‘সকালে ঠিক সময়ে গাড়ি ছাড়তে পেরেছিলাম। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিঘাটে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় ৩/৪ ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত এমন চলবে।’

এদিকে, উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কোনো ধরনের পরিবর্তন হয় নি। ৫/৬ ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয় নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে।

মোকসেদুর রহমান নামে স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলের শিডিউল বিপর্যয় নতুন কিছু না। প্রতিবারে এ কষ্ট করতে হয়। আমার মনে হয়, সরকার সমস্যা দূর করতে একবারে উদাসীন।’

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.