মেয়েকে তুলে নিতে না পেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা

মার্চ ১৬, ২০১৬

narayanganj_ঢাকা জার্নাল: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মেয়েকে ঘর থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টাকালে বাধা দেওয়ায় বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে ‘কথিত’ প্রেমিকসহ তার বন্ধুরা। নিহত মনিন্দ্র একটি বাড়ির কেয়ারটেকার ও রিকশা চালক ছিলেন।

বুধবার (১৬ মার্চ) ভোরে ফতুল্লার ভুঁইগড় রগুনাথপুর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এঘটনায় নজরুল ইসলাম (৩৫), মনির হোসেন (৩৪), জাহিদ (২০), সুশান্ত (১৯), জুয়েল (২৫), বাবু (২১) ও হৃদয়সহ (২৬) সাতজনকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের বহনকারী দু’টি মাইক্রোবাসও আটক করা হয়।

নিহত মনিন্দ্র অধিকারী লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানার কৃজ্ঞদিশা এলাকার বাসিন্দা।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, ভুঁইগড় রঘুনাথপুর এলাকায় এনামুল হকের বাড়িতে স্ব-পরিবারে বসবাস এবং বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন মনিন্দ্র অধিকারী। তিনি রাতের বেলা বাড়ি দেখাশোনা এবং দিনে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

ওসি জানান, তার তিন মেয়ের মধ্যে মেঝমেয়ে ঝর্না অধিকারী (১৭) নামে এক তরুণীর সঙ্গে ঢাকার তুহিন নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক পরিবারের লোকজন জানতেন না। তারা ঝর্নার বিয়ে ঠিক করেন পাগলার এক ছেলের সঙ্গে। ঝর্না এ বিয়েতে রাজি না হয়ে তার প্রেমিক তুহিনকে বিষয়টি জানান। পরে দু’টি মাইক্রোবাস নিয়ে তুহিনসহ তার বন্ধুরা মঙ্গলবার গভীর রাতে রঘুনাথপুরের বাড়ি থেকে ঝর্নাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের লোকজন তাতে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঝর্নার বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।

হত্যার পর দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় নিহতের স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন সাতজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

ওসি আরো জানান, নিহত মনিন্দ্র অধিকারীর মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ১৬, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.