বিবাহিত জীবনে নির্যাতনের শিকার ৮৭ শতাংশ নারী

মার্চ ৮, ২০১৬

nariঢাকা জার্নাল: সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের পেছনে নারীর অগ্রগতি বড় ভূমিকা রাখলেও ঘরের মধ্যে নারীর অবস্থা তেমন বদলায়নি। দেশের বিবাহিত নারীদের ৮৭ শতাংশই স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো সময়ে, কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বিবাহিত জীবনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন এক-তৃতীয়াংশ নারী।

নারী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, সমাজে নারী-পুরুষের অসমতা আর নিরাপত্তাহীনতাই নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ার প্রধান কারণ।

রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষাসহ বিভিন্নক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। তাদেরই একজন প্রতিনিধি ডা. নাজমা বেগম। বাংলাদেশ ও বিশ্বের সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি।

এরকম অনেক ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে ৪০ বছরেও অর্জিত হয়নি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। এখনও ঘরে ও ঘরের বাইরে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন নারীরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ৮৭ শতাংশ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ভূসম্পত্তির ওপর নারীর সম-অধিকার ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এখন পর্যন্ত রয়ে গেছে আড়ালে।

প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গেছে, সমাজবিজ্ঞানী মাহবুবা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলছেন, এখনও বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী আটকে আছেন ধর্মীয় কুসংস্কার আর পুরুষতান্ত্রিকতার বেড়াজালে।

তাদের মতে, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন আদালতে সাক্ষীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘শুধু আইন থাকলে হবে না। সঙ্গে এর সঠিক প্রয়োগ এবং বাস্তবায়নের পরিবেশ থাকতে হবে।’

নারী-পুরুষের সম অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তারা।

ঢাকা জার্নাল, ৮ মার্চ ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.