‘টকশো’তে প্রধান বিচারপতিকে হেয় করার চিন্তা করা হয়’

মার্চ ২, ২০১৬

S K SinHaঢাকা জার্নাল : অবসরের পর রায় লেখা বা দ্রুত রায় লেখা নিয়ে যারা টকশো’ করেন তারা এর পক্ষে না বলে উল্টো প্রধান বিচারপতিকে হেয় করার চিন্তা করেন বলেন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

বিচারকদের হাতে লেখা সাক্ষ্যগ্রহণের পদ্ধতি বদলে সিলেটের ২০টি আদালতে ডিজিটাল এভিডেন্স রেকর্ডিং এর উদ্বোধনকালে বুধবার (০২ মার্চ) দুপুরে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আজকে কোনো কোনো বিচারকের কাছে, কোনো কোনো বিচারক অবসরে গেছেন। যাদের কাছে ৬/৭ বছরের পুরোনো রায় পড়ে আছে। আমি যখন এ কথাগুলো (দ্রুত রায় দেওয়া/অবসরের পর রায় না লেখা) বলি। আমাদের যারা সমাজের যারা ভালো কথা বলেন, যারা বিভিন্ন টকশো’তে কথা বলেন। এ কথাগুলো তাদের কাছে ইয়ে হয় না। উল্টো তারা প্রধান বিচারপতিকে কী রকম যেন হেয় করা যায় এটা চিন্তা করেন’।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের দেশে মিডিয়া যথেষ্ট স্বাধীনতা  লাভ করেছে। আজকে মিডিয়াতে অনেক কিছু দেখি। টকশো’তে রাত হলে আলোচনা হয়। কিছু কিছু মিডিয়াতে, প্রিন্ট মিডিয়াতে বিচার বিভাগ নিয়ে আলোচনা হয়। আমি এ অনুষ্ঠানে সবাইকে বলতে চাই, আমাদের মিডিয়া বা লিবার্টি আছে। কিন্তু এটা সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ মতে। তবে এখানে আইনের বাধা নিষেধ সাপেক্ষে। বেশি লিবার্টি কিন্তু জনগণের মঙ্গল নিয়ে আসে না। এটার সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত’।
ডিজিটাল সাক্ষ্য ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যবস্থা পর‌্যায়ক্রমে দেশের সব জেলায় চালু করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ই-জুডিশিয়ারির জন্য ১০/১৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে সব জেলায় এ পদ্ধতি চালু করা হবে।

তিনি  বলেন, অনেকে ডিজিটালের সঙ্গে বিদ্যুতের কথা বলেছেন। আমি আশা করি, ২০১৮ সালের পর বিদ্যুতের সমস্যা থাকবে না।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সিলেটের আইনজীবীর দাবির মুখে আদালতে লিফট, বার বিল্ডিং ও আদালতের সংযোগের জন্য ব্রিজ এবং লাইব্রেরির জন্য ৫ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

পরে প্রধান বিচারপতি অতিথিদের নিয়ে এ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়ার্টকিন্স, সিলেট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সরকারি কৌসুলি (জিপি) খাদেমুল মিল্লাত জালাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সমিউল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা জজ মুনির আহমেদ পাটোয়ারী।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০২, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.