ক্রিকেট নিয়ে সংঘর্ষে ১৫ জনকে কুপিয়ে জখম

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬

Bholaঢাকা জার্নাল : ভোলার লালমোহনে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জনকে কুপিয়ে জখম ও পাঁচটি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে।

শুক্রবার জুমার পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত কলমা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরছকিনা গ্রামে যুবলীগ নেতা সিরাজ হায়দারের গ্রুপ ও মুড়ি ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পরিবারের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সিরাজ হায়দার জানান, তার ভাতিজা সজীবের সঙ্গে শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মিজানের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। পরে তারা সজীবকে ধরে নিয়ে মারধর করে তাদের ঘরে চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনা জানতে জুমার নামাজের পর সিরাজ হায়দারের ভাই রতন, বিল্লাল, কামাল ওই বাড়িতে গেলে তাদের অতর্কিত কুপিয়ে জখম করা হয়।

এ খবর পেয়ে সিরাজ হায়দার, তার স্ত্রী অনু, ভাতিজা হাসান, আল-আমিন, ভাইয়ের স্ত্রী পারভিনসহ বিকেলে ওই বাড়িতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।

অপরদিকে শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের পুত্রবধূ রুমা জানান, তিনি দুপুরে পুকুরে গোসল করতে গেলে পুকুরপাড়ে সিরাজ হায়দারের ভাতিজাসহ কয়েকজন অশ্লীল মন্তব্য করেন। এ ঘটনা তার স্বামী মিজানকে জানালে মিজান সিরাজ হায়দারের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে সেখানে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে সিরাজ হায়দারের লোকজন মিজানের বাবা শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে এসে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, স্ত্রী জোসনা, জামাতা মতিন, ছেলে সোহেল, মিজান ও জিহাদসহ দুই গ্রুপের অন্তত ১৫ জন মারাত্মক জখম হয়।

আহতদের নিয়ে লালমোহন হাসপাতাল ও বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সন্ধ্যার পূর্বে পুনরায় শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শাহাবুদ্দিনের ঘর, ভাতিজা কবিরের ঘর ও হনুফার ঘর, তাজল ইসলামের ঘর, তোফায়েলের ঘরসহ পাঁচটি ঘরে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান বলেন, তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.