ড. মোহাম্মদ নাসেরের মৃত্যুতে সিপিবি’র শোক
জানুয়ারি ২৮, ২০১৬ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সিপিবি’র রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসেরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটি। সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে পার্টির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ছাত্রজীবনেই কমরেড নাসের বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে সিপিবি’র নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপে বিপর্যয়ের সময় ও পরবর্তীতে তিনি মতাদর্শিক লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মার্কসবাদ-লেনিনবাদের তত্ত্বকে ধারণ করে, নানা বিচ্যুতির বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। একজন তাত্ত্বিক নেতা ও পার্টির লেনিন স্কুলের একজন প্রশিক্ষক হিসেবে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের সৃজনশীল শিক্ষায় তিনি পার্টির তরুণ কর্মীদের গড়ে তুলতে সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। রাজশাহীতে সিপিবি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট ও উদীচী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কমরেড নাসের শুধুমাত্র রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠকই ছিলেন না, ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক-শিক্ষাবিদ, ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলের প্রিয় ‘নাসের স্যার’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে অন্য কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে পুলিশের গুলির সামনে ‘মানবঢাল’ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করছেন। অধ্যাপক নাসেরের অনেক গবেষণা আন্তর্জাতিক অনেক সেমিনারে উত্থাপিত ও আলোচিত হয়েছে এবং খ্যাতি অর্জন করেছে।
সিপিবি’র নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, কমরেড নাসেরের মৃত্যুতে দেশ এমন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হারালো, যিনি একই সাথে ছিলেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক-শিক্ষাবিদ ও গবেষক। তাঁর মৃত্যুতে বামপন্থী আন্দোলনসহ দেশের অসামান্য ক্ষতি হলো, যা সহজে পূরণ হবার নয়।