এ হচ্ছে ইসলামিক দেশ পাকিস্তান
ডিসেম্বর ২০, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: পাকিস্তানকে নিয়ে মুসলিম বিশ্বের অনেক মানুষই গর্ব করেন। কোনো দেশের নাগরিকরা পাকিস্তানকে ধর্মীয়আদর্শের দেওয়া ভাবেন। তবে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আচার নিয়ে ব্যাপক সমালেঅচনা রয়েছে। রয়েছে সে দেশের নেতাদের ধর্মীয় চেতনা নিয়েও। পড়ুন ৭ম বাংলাব্লগের একটি লেখা।
পাকিস্তান সৃষ্টির শুরু থেকে লক্ষ্য করি।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান যখন সৃষ্টির শুরুতেই পাকিস্তানের জাতির জনক হয় কায়েদে আজম আলী জিন্নাহ। সে হচ্ছে একজন সেক্যুলার।পরে টুপি একটা মাথায় দিয়ে মুসলিম সেজেছে। পরবর্তীতে আমরা দেখি জেনারেল আইয়ুব খানকে। বাঙালীদের উপর জুলুমের জন্য তার ভুমিকা ও অনেক। সে হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কে সেক্যুলার বলার বলার জন্য বহু উলামায়েকরামগন তাকে কাফির ফতোয়া দিয়েছেন। আসুন ইয়াহিয়ার দিকে। এই জেনারেল তার সময়ে সর্বকলের সেরা গনহত্যা চালিয়েছে নিরিহ বাঙালীদের উপর।
যে মুসলিম নামের উপর পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছে,কিন্তু কি করেছে তারা।এটা সত্য যে তত্তকালিন পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে বাঙালী মুসলামানদের অবদান সবচেয়ে বেশী ছিল।শহীদ সোহয়ার্দি সাহেব,শেরে বাংলা একে ফজলুল হক শ আরও অনেক।
কিন্তু পরিণামে কি পেয়েছি আমরা।
৩০ লক্ষ বাঙালীর লাশ ও দুই লক্ষ ধর্ষিত মা বোন।
এ রকম গণহত্যা কোন মুসলিম অন্য কোন মুসলিমের উপর করাতো দূরের কথা অন্য কোন জাতির উপর ও করতে পারেনা।
১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় একটা আর্টকেল দিয়েছিল।
বাংলাদেশ যখন স্বাধিন হয় ১৬ই ডিসেম্বরে সেদিন জেনারেল ইয়াহিয়া কে তার এক বন্ধু বলেছিল স্যার কায়েদে আজম ক্যা পাকিস্তান তো টুট গিয়া।(কায়েদে আজমের পাকিস্তান ভেঙে গেছে) উত্তরে সে বলেছিল, ও ছোড় মুজে দারু আর জরিনাকো দেদো(ঐসব ছাড় আমাকে মদ ও বেশ্যা মেয়ে জরিনাকে এনে দাও।
এটা হল তথাকথিত ইসলামিক দেশের অবস্থা।
তাদের আইনি ব্যবস্থা হল সেই ব্রিটিসদের তৈরী করা আইনগুলো।(জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম দ্বারা কয়েকটা ইসলামিক আইন ঢুকনো হয়েছে)।
পাকিস্তান ইনটারন্যাশানাল এয়ারলাইন্স।সব সময় মদ পরিবেশন করা হত।তবে জিয়ায়ুল হকের আমলে তা বন্ধ করা হয়।
আর সর্বশেষ মোশাররফ সাহেবের কাহিনী আর কি লিখব আপনারাই জানেন যে,আমেরিকা ও ইহুদীদের পা চাটতে ব্যস্ত।
তারা যেভাবে সুন্দরী প্রতিযোগিতা করেন তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা।
সেপ্টেমবরের ২৩ তারিখ ২০০৭ সালের মিস পাকিস্তান মাহলেজ সরকারির ছবিটি দেখেন।
ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫।