‘দশ বছরে দেশ থেকে ৫৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার পাচার

ডিসেম্বর ৯, ২০১৫

2২০0৪ সাথেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৫৫ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একইসাথে এই ১০ বছরে বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো থেকে ৭ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে।এর মধ্যে অবৈধ বাণিজ্যের মাধ্যমে পাচার হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৬ নম্বরে। শীর্ষ পাঁচে রয়েছে চীন, রাশিয়া, মেক্সিকো, ভারত ও মালয়েশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) বুধবার বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রা পাচার নিয়ে একটি সমীক্ষাপত্র প্রকাশ করেছে। যাতে গোটা বিশ্বের অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারের তালিকা প্রকাশ পায়। জিএফআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ দেব কার ও কনিষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্পানজার সমীক্ষাপত্রটি তৈরি করেন। বাংলাদেশ থেকে  অবৈধভাবে মুদ্রা পাচারে জিডিপির হিসাবে পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২০০৩-১২ সালের প্রকাশিত সমীক্ষাপত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫১তম। ‘উন্নয়নশীল দেশ হতে মুদ্রা পাচার : ২০০৪-২০১৩’ শিরোনামে ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে বিশ্বে অবৈধ মুদ্রা পাচারের পরিমাণ প্রথম ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১৩ সালে পাচার হয় ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০০৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৬৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। সমীক্ষাপত্রটি সম্পর্কে জিএফআইয়ের চেয়ারম্যান রেমন্ড বেকার বলেন, এই সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে, উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলোর জন্য অবৈধ মুদ্রাপ্রবাহ তাদের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া মুদ্রার পরিমান ছিল ৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। গড়ে প্রতিবছর ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী মুদ্রা পাচার হয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.