স্ত্রীর কারণে চরমপন্থি হয়েছিলেন ফারুক!

ডিসেম্বর ৫, ২০১৫

02আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, স্ত্রীর কারণে চরমপন্থার দিকে ঝুঁকেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সন্দেহভাজন হামলাকারী সৈয়দ ফারুক। তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান বারনারদিনো কাউন্টির একটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে হামলা চালান ফারুক ও তার স্ত্রী তাশফিন মালিক। এতে ১৪ জন নিহত হয়। আহত হয় আরো ২১ জন।

কর্মকর্তারা জানান, ফারুকের সঙ্গে বিয়ের আগে তাশফিনের পরিচয় সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তার জন্ম পাকিস্তানে। ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি ইসলামবাদে মার্কিন দূতাবাসে কে-ওয়ান ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন। এই ভিসা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন কাউকে দেওয়া হয়।

বিয়ের আগ পর্যন্ত সৌদি আরবে ছিলেন তাশফিন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব যান ফারুক। সেখানে তার সঙ্গে তাশফিনের পরিচয় হয়। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসেন ফারুক। ওই বছরই ১৬ জুলাই রিভারসাইড কাউন্টিতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, ফারুক যখন সর্বশেষ সৌদি আরব সফর করেন, তখন সে ও তাশফিন কিংবা তাদের একজনের সঙ্গে সন্দেহভাজন আল-কায়েদার জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তবে তাদের মধ্যে কী ধরণের যোগাযোগ হয়েছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।

বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা সাইট ইন্টিলিজেন্সের সহযোগি প্রতিষ্ঠাতা রিতা কাৎজ বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ফারুকের সঙ্গে জঙ্গি গ্রুপের যোগাযোগ ছিল তারা এ ধরণের কোনো তথ্য পাননি। তবে হামলার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ফারুকের কিছু মন্তব্য মুছে ফেলা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, স্ত্রী তাশফিনই যে ফারুককে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিয়েছিল তার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত তারা দুজন মিলেই হামলার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় পাইপ বোমা রেখেছিল।

বুধবার হামলার দিন সকালে ফারুক তার অফিস ইনল্যান্ড রিজিওনাল সেন্টারে গিয়েছিলেন। সেখানে তার ৭৫জন সহকর্মী জমায়েত হয়েছিল। বাসায় এসে যুদ্ধের পোষাক পরে আবারও অফিসে যান তিনি। ফারুক ও তাশফিন মিলে সেখানে প্রায় ৭৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন।

চার ঘন্টা পর ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে পুলিশের সঙ্গে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন স্বামী-স্ত্রী দুজনই। এসময় ফারুক ও তাশফিন ৭৬ রাউন্ড গুলি ছুড়েছিলেন।

৫ ডিসেম্বর ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.