সালমানের প্রেমিকারা

নভেম্বর ১৬, ২০১৫

অসংখ্য প্রেমের ছবির এ অভিনেতা ব্যক্তি জীবনেও প্রেমে পড়েছেন অনেক বার। কিন্তু কোনোবারই প্রেম পরিণয় অবধি গড়ায়নি। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সেন্ট স্তানিসলাস হাই স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠী বন্ধুর বোনের প্রেমে পড়েন সালমান। সেই প্রেম কলেজ জীবন পর্যন্ত গড়ায়। তবে সেই প্রেমিকার বিষয়ে কখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

সালমান খানের প্রথম প্রেমিকা হিসেবে বরাবরই উচ্চারিত হয়েছে সংগীতা বিজলানির নাম। সংগীতা বিজলানি ১৯৮০ সালে মিস ইন্ডিয়া হয়েছিলেন। আশির দশকে মডেলিংয়ে সফল ক্যারিয়ার গড়ে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি।  ‘হাথিয়ার’, ‘ত্রিদেব’, ‘জুর্ম’, ‘ইজ্জাত’ – এর মতো ব্যাবসা সফল ছবির নায়িকা  সংগীতা বয়সে  ছিলেন সালমানের চেয়ে বছর পাঁচেকের বড়। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের দশকের শুরু পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক ছিল। সে সময় চলচ্চিত্রে মাত্র পা রেখেছেন সালমান। ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র লাজুক প্রেমিক প্রেমের ভূমিকায় অভিনয় করে লাখো তরুণীর হৃদয়ের রাজা হয়ে বসেছেন। বোন আলভিরার মাধ্যমেই সংগীতার সঙ্গে পরিচয় হয় সালমানের। ১৯৯৩ সালে তাদের প্রেমে ভাঙন ধরে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সে সময়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে প্রেমই এই ভাঙনের কারণ বলে ধরা হয়।  ১৯৯৬ সালে আজহারকে বিয়ে করেন সংগীতা।

পাকিস্তানি অভিনেত্রী সোমি আলির সঙ্গে সালমানের প্রেম শুরু হয় ১৯৯৩ সাল থেকে। সোমি ছিলেন বয়সে সালমানের দশ বছরের ছোট। তিনি বাবার দিক থেকে সালমানের দূর সম্পর্কের আত্মীয়াও ছিলেন। সোমির সঙ্গে সালমানের বিয়ের কথাও হয়। কিন্তু ১৯৯৭ সালে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। যুক্তরাষ্ট্রনিবাসী সোমি আলি বলিউডে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও সাফল্য পাননি। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার নিজস্ব ফ্যাশন ডিজাইন হাউজ রয়েছে। তিনি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানেরও প্রধান। সোমি আলির অভিযোগ ছিল সালমান অত্যন্ত বদমেজাজি এবং অতিরিক্ত মদ্যপান করেন।

‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবিতে অভিনয়ের সময় ১৯৯৯ সালে একে অপরের প্রেম পড়েন ঐশ্বরিয়া রাইয় ও সালমান। সে সময় তাদের সম্পর্ক দারুণ আলোচিত ছিল। ২০০২ সাল পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক টিকেছিল। শোনা গিয়েছিল সালমান তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং শারীরিকভাবে আঘাত করতেন। ঐশ্বরিয়ার মা-বাবা এক সময় থানায় সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেছিলেন। ঐশ্বরিয়ার বাসভবনের সামনে গিয়ে হট্টগোল করেছেন বলেও সালমানের নামে অভিযোগ করেন তারা।

২০০৩ সালে সালমানের জীবনে আসেন ক্যাটরিনা কাইফ। সালমান খানই সুন্দরী এই ইন্দো-ব্রিটিশ অভিনেত্রীকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করেন। সালমানের বিপরীতে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া’ ছবির পর থেকেই তার ক্যারিয়ার চাঙা হয়ে ওঠে। তবে ২০১০ সালের দিকে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। শোনা যায় রানবির কাপুরের সঙ্গে ঘনিষ্টতার কারণেই সালমানের সঙ্গে তার প্রেমে ভাঙন ধরে। আবার এমন গুজবও রয়েছে যে জার্মান মডেল ক্লডিয়া সিয়াসেলার সঙ্গে সালমানের অতিরিক্ত মাখামাখির কারণেই ক্যাটরিনা তাকে ছেড়ে যান।

গত কয়েক বছর ধরে রোমানিয়ার অভিনেত্রী লুলিয়া ভ্যান্টুরের সঙ্গে সালমান খানের প্রেমের গুজব শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে সালমানের ছোট বোন অর্পিতার বিয়েতে খান পরিবারের সঙ্গে লুলিয়ার ঘনিষ্টতা চোখে পড়েছে আসরে উপস্থিত অতিথিদের। শোনা যায়, বিয়ের আসরেই লুলিয়াকে নিজের প্রেমিকা বলে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সালমান। তবে সরাসরি এ সম্পর্কের কথা এখনও স্বীকার করেননি তিনি।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.