নারায়ণগঞ্জ থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নূর হোসেন

নভেম্বর ১৩, ২০১৫

03নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনার মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় কঠোর নিরাপত্তা ও প্রহরায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তাকে পাঠানো কেন্দ্রীয় কারাগারে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন   এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ মামলা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক আসামিকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সে হিসেবেই নূর হোসেনকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলামের আদালতে নূর হোসেনকে হাজির করানো হয়। এর মধ্যে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মামলায় দণ্ডপপ্রাপ্ত নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার ও ১১টি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।

শুনানি শেষে বিচারক নূর হোসেনকে কঠোর প্রহরায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে নিয়ে যায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র‌্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র‌্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও তার সত্যতা পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের পর নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন। এরপর ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়। গতবছর ১৮ আগস্ট নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগী ওহাদুজ্জামান শামীম এবং খান সুমনের বিরুদ্ধে চব্বিশ পরগনার বারাসাত আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বাগুইআটি থানা পুলিশ।

নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের দায়ের করা অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে উত্তর চব্বিশ পরগণার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সন্দীপ চক্রবর্তী গত ১৬ অক্টোবর তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি করে দেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.