আটকে দেওয়া হলো মোদিপত্নীর পাসপোর্ট

নভেম্বর ১১, ২০১৫

21আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একমাত্র স্ত্রী যশোদাবেন স্বামীকে তো পেলেনই না, স্বীকৃতিটুকুও সেই সুদূরেই ফেলে রাখছে তাকে। বলা যায়, যশোদাবেন যেন ভাগ্য বিড়ম্বিত এক নারী। বিদেশে বেড়াতে যেতে চেয়েও আর যাওয়া হলো না তার। এবার তার পাসপোর্টই আটকে দিয়েছে আহমেদাবাদের পাসপোর্ট দফতর। কারণ, যশোদাবেনের কাছে বিবাহের কোনও প্রমাণপত্র নেই। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

 

স্কুল শিক্ষিকার পদ থেকে অবসরের পর এই প্রথম বার পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী। ইচ্ছে, বিদেশের কিছু বন্ধু-স্বজনের সঙ্গে দেখা করা। আহমেদাবাদের পাসপোর্ট দফতর জানায়, প্রথমে অনলাইনে ফর্ম ভরার পর গত শুক্রবার আহমেদাবাদের সেখানে আসেন তিনি। আবেদনপত্রে নিজেকে বিবাহিত লিখেছেন, অথচ তার প্রমাণ হিসেবে কোনও বৈধ নথি তার কাছে ছিল না। আর সে কারণে আবেদনটি খারিজ করে দেয় পাসপোর্ট দফতর।

সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসার জানান, ‘যশোদাবেন তার পাসপোর্ট আবেদন পত্রে নিজের স্বামী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম লিখেছেন। কিন্তু আইন অনুসারে ২০০৬ সালের পর বিবাহ হলে সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। তার আগে হলে স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ হলফনামা দরকার। স্বামী বা স্ত্রী-এর মধ্যে কেউ মারা গেলে মৃত্যুর প্রমাণপত্র দিতে হয় পাসপোর্ট দফতরে। কিন্তু যশোদাবেন নিজেকে বিবাহিত দাবি করেও তার কাছে না আছে বিবাহের সার্টিফিকেট, না স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ হলফনামা। সে কারণে এই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।’

পাসপোর্ট অফিসের মতে, যশোদাবেনকে পাসপোর্ট পেতে হলে তার স্বামী নরেন্দ্র মোদির স্বাক্ষর করা যৌথ হলফনামা পেশ করতে হবে। তা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। যদিও যশোদাবেন পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় গত লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির পেশ করা নির্বাচনী হলফনামার প্রতিলিপিটি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে প্রথম বার যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু পাসপোর্ট দফতর সেই নথিকে গুরুত্ব দেয়নি।

পাসপোর্ট অফিসারের মতে, ‘নরেন্দ্র মোদির সেই হলফনামাটি অন্য আর একটি কাজের জন্য দেওয়া। সেটি পাসপোর্ট দফতর স্বীকার করতে পারে না।’ ফলে নরেন্দ্র মোদি যদি এখন তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ হলফনামা দিতে রাজি হন, তা হলেই বিদেশযাত্রার স্বপ্ন পূরণ হবে যশোদাবেনের।

 

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.