‘ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ’

নভেম্বর ৪, ২০১৫

এভাবেই গত ২৬শে অক্টোবর নিজের ফেইসবুক পেইজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ।

২০০৪ সালের পর পুনরায় ভারতীয় বন্ধুদের আমন্ত্রনে সাড়া দিতে আবারও ভিসার জন্য পাঁচটি পাসপোর্ট সহ ভারতীয় হাইকমিশনে জমা দিয়েছিলেন। গত ২৫শে অক্টোবরই তার ভিসা হবার কথা ছিল তবে টেকনিক্যাল কারন দেখিয়ে তখন ভিসা দেয়নি।

এরপরও দীর্ঘ ১৩দিন পাসেপোর্ট আটকে রাখার পর আজ জানিয়ে দেয়া হয় তিনি ভারতের ভিসা পাননি। ভারতীয়দের আমন্ত্রিত অতিথী হয়েও ভিসা না পাওয়া চরম রাগান্বিত হয়েছেন তিনি। আর এতেই ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন।

আজ তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে ক্ষোভ জানিয়ে লিখেন,

“২০০৪ সালে ভারতীয় হাই কমিশন আমার পাসপোর্ট আটদিন আটকে রেখে ভিসা দেয়নি। গত এগারো বছর ভিসা চাইনি, প্রয়োজন বোধ করিনি কখনোই। এবার ভারত থেকে সম্মানজনক দাওয়াতপত্র পেয়ে হাইকমিশনে গিয়েছিলাম ভিসার জন্য। পাঁচটি পাসপোর্ট সহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এবারই প্রথম কাবিন নামা দিলাম,বলেছি প্রয়োজনে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

এগারো বছর পর দীর্ঘ তেরোদিন পাসপোর্ট রেখে দিয়ে চৌদ্দদিনের মাথায় প্রদর্শিত হল ভারতীয় হাই কমিশনের ব্লক বাষ্টার সিনেমা-‘এখানে প্রশ্রাব করা নিষেধ’। এখানে নায়ক ভিলেন দুটোই আমি, ওরা টিকেটের কালোবাজারি মাত্র । দাওয়াতের মর্যাদা ভারতীয় হাইকমিশন বুঝবেনা, এটা একটা স্রেফ ব্যবসা কেন্দ্র। এবারো ভিসা না দেয়ার কারন ব্যাখ্যা করা হয়নি,তবে আদায় করা হবে ।

গত কয়েকদিন শরীরটা মোটেও ভাল যাচ্ছেনা, এবার মেজাজটাও খিচড়ে গেলো। আমি অপমানিত,ক্রোধান্বিত,বিরক্ত । ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি। পরের বার ভিসা বাড়ী এসে দিয়ে যেতে হবে। ভারতীয় বন্ধুরা- যারা ভালোবেসে দাওয়াত দিয়েছেন আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এবার শুরু হবে আসল লড়াই…”

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.