সৌদি বাদশাহর `গোপন স্ত্রী` পাচ্ছেন আড়াই কোটি ডলার

নভেম্বর ৪, ২০১৫

22আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ফাহাদের ‘গোপন স্ত্রী’ বলে দাবিদার এক নারীকে আড়াই কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে লন্ডন হাইকোর্ট। আদালত বাদশাহ ফাহাদের পুত্র প্রিন্স আবদুল আজিজকে এ ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বাদশাহ ফাহাদের ‘গোপন স্ত্রী’ বলে দাবিদার ওই নারীর নাম হচ্ছে জানান হার্ব (৬৮) । তার দাবি, বাদশাহ ফাহাদ ১৯৬৮ সালে গোপনে তাকে বিয়ে করেছিলেন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এই নারী জানান, বাদশাহ ফাহাদের পরিবার তাদের বিয়ের বিরোধী ছিলেন। কারণ, তিনি খ্রিষ্টান পরিবার থেকে এসেছেন। কিন্তু বিয়ের আগে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। রাজ পরিবারের বিরোধিতার মুখে তিনি ১৯৭০ সালে সৌদি আরব ত্যাগ করেন। এরপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তখন তাকে আজীবন দেখভালের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাদশাহ ফাহাদ। কিন্তু বাদশাহ তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।

মামলায় হার্ব অভিযোগ করেন, ২০০৫ সালে মৃত্যুর আগে বাদশাহ ফাহাদ দুই বছর গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। তখন তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই সময় ফাহাদের ছেলে প্রিন্স আবদুল আজিজ লন্ডনের ডরচেষ্টার হোটেলে হার্বের সঙ্গে দেখা করেন। প্রিন্স আবদুল আজিজ তাঁকে আশ্বাস দেন যে, রাজপরিবার তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে। ওই সময় সৎ মাকে এক কোটি ২০ লাখ ডলার নগদ এবং চেলসিতে দুটি ফ্ল্যাট দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।

তবে লন্ডনের হাইকোর্টে পেশ করা লিখিত বিবৃতিতে প্রিন্স আবদুল আজিজ এ প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেছেন।

হাইকোর্ট মামলার রায়ে, হার্বকে দেড় কোটি মার্কিন ডলার নগদ এবং লন্ডনের চেলসিতে দুটি বাড়ির মূল্য বাবদ আরও ১ কোটি ডলার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

 

মামলার এ রায়ে হার্ব সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ১০ বছরেরও বেশি সময় সময় ধরে তিনি এ বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ আদালতের এই রায়ে আমি খুশি। প্রিন্স আমাকে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বলেছেন।’

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.