উয়ারী-বটেশ্বরে খনন কাজ ও নিদর্শন সংরক্ষণে দীর্ঘসূত্রতা
অক্টোবর ১০, ২০১৫ উপ-মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরের খনন কাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। এমনকি প্রাপ্ত নিদর্শন সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন দর্শনার্থী হারাচ্ছে এ স্থানটি। সরকারি অর্থ বরাদ্দ থাকলেও স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতায় আড়াই বছর ধরে আটকে রয়েছে প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের কাজ।
এ অবস্থায়, দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। আর প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অর্থ সহায়তা পেলে নিদর্শনের সঠিক সংরক্ষণ সম্ভব হবে।
২০০০ সাল থেকে দফায় দফায় খননে এখানে আবিষ্কৃত হতে থাকে প্রাচীন সভ্যতার নানা নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ-নগর, রাস্তা, পোড়া মাটির ফলক, মূল্যবান পাথর, কাঁচের পুঁতিসহ উপমহাদেশের প্রাচীনতম ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা।
এরই মধ্যে আবিষ্কৃত উল্টো পিরামিড আকৃতির স্থাপত্য নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
এছাড়া প্রাপ্ত মন্দির কমপ্লেক্সে ৩টি স্তূপের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা ১২শ’ বছরের পুরনো বলে ধারণা করছেন তারা।
এদিকে, দীর্ঘ দিনেও খনন কাজ শেষ না হওয়ায় এবং আবিষ্কৃত নিদর্শন স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
খনন কাজ ও নিদর্শন সংরক্ষণে সরকারি অর্থ পর্যাপ্ত নয় বলে জানান খননকাজে নেতৃত্বদানকারী প্রত্নতত্ত্ববিদ, ঐতিহ্য অন্বেষণ- এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সূফী মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে আবিষ্কৃত নিদর্শন সংরক্ষণে জাদুঘর নির্মাণ নিয়ে স্থান নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ।
১৯৮৯ সালে ভারত থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক দিলীপ কুমার চক্রবর্তী উয়ারী-বটেশ্বর স্থানটি পরিদর্শন করেন। সে সময় মাটির ধরণ ও গঠন পর্যবেক্ষণ করে তিনিই প্রথম সেখানে প্রাচীন সভ্যতার অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন।