সামছুল কসাইয়ের লালসার শিকার ছাত্রী মৃত্যুশয্যায়
অক্টোবর ১০, ২০১৫ মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের মধ্যবয়সি সামছুল আলম ওরফে সামছুল কসাইয়ের লালসার শিকার হয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ট শ্রেণির এক ছাত্রী এখন মৃত্যুশয্যায়। ধর্ষণের ঘটনায় ওই ছাত্রী পাঁচ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর জোর করে তার গর্ভপাত ঘটান সামছুল। এ ঘটনায় সামছুলের শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী।
ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাস পাঁচেক আগে সহপাঠী প্রতিবেশীর মেয়েকে ডাকতে মহিষাখোলা গ্রামের সামছুল কসাইয়ের বাড়িতে যায় দিনমজুর কন্যা ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী। ওই সময় পরিবারের লোকজন না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীর মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে সামছুল কসাই। প্রাণনাশের হুমকিতে ওই ছাত্রী বিষয়টি বাড়ির লোকজনকে না জানালেও কয়েকদিন আগে তার শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারেন। অবস্থা বেগতিক দেখে গত বুধবার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ওই ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটান সামছুল কসাই।
ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর সামছুল কসাই আত্মগোপন করেছেন।
কিন্তু প্রভাবশালী সামছুলের অব্যাহত হুমকিতে আইনগত ব্যবস্থার দিকে যেতে পারছেন না ছাত্রীর দিনমজুর পিতা। শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে বিষয়টি জানাজানি হলে সামছুলের শাস্তি দাবিতে এ দিন বিকেলে গ্রামের লোকজন বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন।