কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ছাত্র ইউনিয়নের শ্রদ্ধাঞ্জলি
অক্টোবর ৯, ২০১৫ কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক আইনের বিরুদ্ধে যে জঙ্গি ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ ছিলেন সেই আন্দোলনের মূল পরিকল্পনাকারী। তাকে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের মস্তিষ্ক বলে বিবেচনা করা হয়। ’৬৯ এর ঐতিহাসিক ১১ দফা ছাত্র আন্দোলনের তিনি ছিলেন নেপথ্য কারিগর ও প্রকৃত পরামর্শদাতা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ, ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রভৃতি সংগঠনসমূহকে নিয়ে যে গেরিলা মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়েছিল কমরেড ফরহাদ ছিলেন এই সংযুক্ত মুক্তিবাহিনীর প্রধান সংগঠক ও নেতা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায় বিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তিনি ছিলেন নেতা। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মোহাম্মদ ফরহাদ ঢাকা স্টেডিয়ামে এক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত বাহিনীর অস্ত্র বঙ্গবন্ধুর নিকট সমর্পণ করেন।
১৯৫২ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা লাভ করলে, দিনাজপুর জেলায় সংগঠনের মূল উদ্যেক্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯৫৮ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে চলে আসেন।
কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন ২০০০ সালের মধ্যে দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত করার। আজ বনানী কবরস্থানে সকাল ১০টায় তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করার সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু তারেক সোহেল, সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সেন গুপ্ত সহ অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।