বন্ধু দিবসের ইতিহাস
অক্টোবর ৭, ২০১৫ দেখা হবে বন্ধু, কারণে আর অকারণে, দেখা হবে বন্ধু চাপা কোনো অভিমানে, দেখা হবে বন্ধু সাময়িক বৈরিতায় অস্থির অপারগতায়…
পার্থ বড়ুয়ার এই গানে প্রতিটি শব্দেই বন্ধুত্বের মূল বিষয়গুলো উঠে এসেছে। মন খারাপ হোক বা ভালো কিছু হোক, আসল খবরটা আগে বন্ধুকেই দেওয়া হয়।
মা বাবার সঙ্গে যে কথাগুলো বলা হয়ে ওঠে না, সে কথাগুলো বলার একমাত্র নির্ভরতার মানুষ হল বন্ধু। আর এই সম্পর্ক প্রতিদিন সমান গুরুত্বের হলেও বন্ধুকে খানিকটা আলাদা করে মূল্যায়ন করার জন্য পালিত হয়ে আসছে ‘বন্ধু দিবস’।
প্রতি বছরের অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবার পালিত হয় আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস। এদিন বন্ধুরা একে অপরকে উপহার দেয়। অথবা সবাই মিলে কিছুটা বাড়তি সময় পার করে উদযাপন করা হয় দিনটি।
তবে ঠিক কবে থেকে বন্ধু দিবস পালন করা হচ্ছে তার সঠিক ইতিহাস নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে বেশ কিছু ইতিহাস দেখে ধারণা করা যায় ঊনবিংশ শতাব্দির ত্রিশ থেকে চল্লিশের দশকের মধ্যবর্তী সময়েই বন্ধু দিবস পালন শুরু হয়।
বেশ কয়েকটি বন্ধু দিবসবিষয়ক ওয়েবসাইট ঘেটে জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ বিশেষত প্যারাগুয়ে’তে প্রথম বন্ধু দিবস পালন শুরু হয়। সালটা ছিল ১৯৫৮।
প্রথম দিকে বিভিন্ন কার্ড তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডশিপ ডে’র চল শুরু করে। পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে এই দিন উদযাপন বিশাল আকার ধারণ করে।
আবার ধারণা করা হয় ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এই দিন উদযাপন শুরু হয়। পরে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যায়। বন্ধু দিবসে বন্ধুদের ফুল, কার্ড, রিস্ট ব্যান্ড ইত্যাদি উপহার দিয়ে বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন করা হয়।
একেক দেশে একেক তারিখে বন্ধু দিবস পালিত হয়।
১৯৫৮ সালের ৩০ জুলাই প্রথম ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপিত হওয়র পর ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলি অফ দ্য ইউনাইটেড নেশন’ ২০১১ সালের ৩০ জুলাই দিনটি আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
অন্যদিকে আরেক তথ্যানুসারে, ১৯১৯ সালে ‘হলমার্ক কার্ড’য়ের প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এমনটাই জানা যায়। তখন অগাস্টের প্রথম রবিবার সবাই বন্ধুদের কার্ড এবং উপহার পাঠিয়ে এই দিবস উদযাপন করতো। আর সেখান থেকেই ধারণা করা হচ্ছে যে অগাস্টের প্রথম রবিবার বন্ধু দিবস পালনের প্রথা এসেছে।
এ বছরও অগাস্টের প্রথম রবিবার অর্থাৎ ২ অগাস্ট আন্তজার্তিক বন্ধু দিবস পালিত হচ্ছে।