পর্ন আসক্তি— মানসিক স্বাস্থ্যে ঝুঁকি

অক্টোবর ৭, ২০১৫

অনেকেই মনে করেন, অশ্লীল ভিডিও এক ধরনের স্বাস্থ্যকর যৌন অভিব্যক্তি। আবার অনেকের মতে, এসব অত্যন্ত খারাপ যা মানুষের মধ্যে অবাস্তব আকাঙ্ক্ষা এবং আসক্তি সৃষ্টি করে।

মেডিকলডেইলি ডটকম’য়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়— কেইস ওয়েস্টার্ন রিভার্স ইউনিভার্সিটির করা নতুন এই পর্যালোচনা ইঙ্গিত করে যে, পর্ন আসক্তির ধারণাটাই একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষেকরা দেখেন, যারা বিশ্বাস করেন যে তারা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত তারা বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা যেমন: দুশ্চিন্তা, ক্রোধ ও উৎকণ্ঠা অনুভব করে থাকেন।

তবে এই অনুভূতিগুলো পর্ন দেখার ফলাফল নয়। বরং দেখাটা যে আসক্তিতে পরিণত হচ্ছে, এই অনুভূতিটাই মূলত ওই মানসিক জটিলতাগুলোর কারণ।

গবেষণার প্রধান লেখক জশুয়া গ্রাবস বলেন, “জটিলতাগুলোর কারণ পর্নোগ্রাফি নয়। বরং এগুলো সম্পর্কে যা ভাবা হচ্ছে সেটাই আসল।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন গবেষণা থেকে আমরা জানি, কোনো কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে, এই ভাবনা মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা ডেকে আনে।”

“সবক্ষেত্রে মানসিক জটিলতা পর্নোগ্রাফি দেখার অপরাধ বোধ থেকে আসে না।”—বলেন গ্রাবস।

বরং কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পর্ন কোনো জটিলতা তৈরি করে না। বরং পর্ন দেখার পরিণতি নিয়ে দুশ্চিন্তাই জটিলতা ডেকে আনে।

গ্রাবস বলেন, “পর্ন দেখা নিয়ে সবার সামনে অপমানিত হওয়া, বৈবাহিক সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হওয়া কিংবা কর্মক্ষেত্রে ধরা পড়া ও চাকরি হারানো— এগুলোই মূলত মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার কারণ।”

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.