চারটি সহকারী শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫

চারটি সহকারী শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
সভায় ৬ দফা দাবিকে সামনে রেখে সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনসমূহের যৌথ কর্মসূচির পালনের সিদ্ধান্ত

১৯-২১ সেপ্টম্বর ২০১৫ সারাদেশে সকাল ৯টা-১২টা কর্মবিরতি ও ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সারাদেশে পূর্নদিবস কর্মবিরতি

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের দাবি দাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনসমূহের আজ এক যৌথ সভায় সহকারী শিক্ষকদের দাবি আদায়ে চারটি সহকারী শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ৬ দফা দাবিকে সামনে রেখে যৌথ কর্মসূচির পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সংগঠনসমূহ হচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ (রেজিঃ ১২০৪৮), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি (রেজিঃ ১২০৬৮), বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি (রেজিঃ ১৫৩৬/৯৬/৯৩), বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফোরাম (রেজিঃ ১৮০৮/৭৫)। অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনগুলির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিম-লী যথাক্রমে শাহিনুর আল আমীন, নাসরিন সুলতানা, মো. জাহিদুর রহমান বিশ্বাস ও মোঃ আব্দুল হকসহ চার সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় নেতৃবৃন্দ সহকারী শিক্ষকদের দাবিসমূহ আদায়ে একসঙ্গে আন্দোলন কর্মসূচি পালনে ঐক্যমতে পৌঁছান।

সভায় সর্বসম্মতভাবে নি¤েœাক্ত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

কর্মসূচিঃ
১। ১৯ থেকে ২১ সেপ্টম্বর ২০১৫ সারাদেশে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘন্টার কর্মবিরতি।
২। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সারাদেশে পূর্নদিবস কর্মবিরতি।
৩। ১৫ অক্টোবর, ২০১৫ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রতিকী অনশন।

দাবিসমূহঃ

১। ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতনস্কেলে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে (১২,৫০০ টাকা) পূনঃনির্ধারণ করা।
২। সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে নিয়োগ দিয়ে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির সুযোগ প্রদান করা।
৩। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা পরিবর্তণ করে মহিলা পূরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রী শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা।
৪। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণা করা এবং সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা।
৫। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পূনঃবহাল করে দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।
৬। নন-ভ্যাকেশনাল ডিপার্টমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য অর্জিত ছুটির বিধান প্রণয়ন করা।

সভায় নেতৃবৃন্দ সারাদেশের সকল সহকারী শিক্ষকগণকে দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.