শিল্পকলায় ‘হাফ আখড়াই’ বুধবার

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫

udiciঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলা টপ্পা গানের একটি দলকে ঘিরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নারীর প্রতি সে সময়ের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী, ধনী-গরীব বৈষম্য প্রভৃতি বিষয়ই নিয়ে নাটক ‘হাফ আখড়াই’। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দর্শকনন্দিত এই নাটকটির বুধবার ৪৬তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে।জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটি প্রদর্শিত হবে। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দর্শকনন্দিত ‘হাফ আখড়াই’ নাটকটি রচনা করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের শিল্পীরা।

নাটকটি সম্পর্কে নাট্যকার রতন সিদ্দিকী জানান, ‘১৮০৪ সালে বাংলা টপ্পা গানের জনক রামনিধি গুপ্ত কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন আখড়াই। নিজস্ব পদ্ধতিতে সঙ্গীত শিক্ষা প্রচলনের মাধ্যমে দ্রুতই কলকাতার অভিজাত শ্রেণীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু, বয়সের ভারে শিষ্য মোহনচাঁদের কাছে শিক্ষাগুরুর দায়িত্ব হস্তান্তরের পরই ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে তার প্রতিষ্ঠিত আখড়াইয়ের চেহারা। গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে মোহনচাঁদ গঠন করেন আলাদা দল, যার নাম হয় ‘হাফ আখড়াই’। এ দ্বন্দ্বই অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘হাফ আখড়াই’ নাটকে।’

নির্দেশক আজাদ আবুল কালাম বলেন, ‘মোহনচাঁদের হাতে দলের দায়িত্ব যাওয়ার পর বাংলা টপ্পা গানের আরেক বাঁক পরিবর্তন দেখা দেয়। এ পরিবর্তন শৈল্পিক না হয়ে ছিল গণমানুষমুখী। তার কথায়, ‘ঐতিহাসিক উপাদান এখানে মূল উপজীব্য নয়, ইতিহাসের ছাইয়ের ভেতরে আত্মার হাহাকারই এই নাট্যক্রিয়ায় উষ্ণীষ’।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.