আত্মহত্যায় বাংলাদেশ দশম
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫ ঢাকা: বিশ্বে আত্মহত্যার হারে বাংলাদেশ দশ নম্বর স্থানে চলে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা-নিরোধী দিবসের প্রাক্কালে হু-র প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগেই প্রতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দিনটিকে আত্মহত্যা নিরোধী দিবস হিসেবে সারা বিশ্ব জুড়ে পালন করা হচ্ছে।
এবার দিনটির থিম হল ‘প্রিভেন্টিং সুইসাইড: রিচিং আউট অ্যান্ড সেভিং লাইভস’। অর্থাৎ যারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার ঝুঁকিতে আছেন তাদের কাছে আগেভাগে পৌঁছে গিয়ে সেই মূল্যবান জীবনগুলোকে রক্ষা করাই হবে আজকের দিনটির মূল উদ্দেশ্য।
সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজকের দিনটি হু-র উদ্যোগে উদযাপন করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু বলছে, প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে আট লাখের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে নিজের জীবন শেষ করার পথ বেছে নেন।
এর অর্থ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও একজন মানুষ আত্মহত্যা করে থাকেন। এছাড়াও আরও বহু মানুষ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
সারা বিশ্বে যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে তার ৭৫ শতাংশ বা তিন-চতুর্থাংশই হয়ে থাকে নিম্ন বা মধ্য আয়ভুক্ত দেশগুলোতে। এই তালিকাতেই বাংলাদেশের স্থান দশ নম্বরে।
আত্মহত্যার জন্য যে পদ্ধতিগুলোর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি সেগুলো হল কীটনাশক খাওয়া, ফাঁসিতে ঝোলা কিংবা আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। সারা বিশ্বেই এই প্রবণতা একই রকম।
তবে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যাই মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ। ২০১২ সালের পরিসংখ্যান এ রকমই বলছে।
আত্মহত্যাকে হু একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছে অনেক আগেই। তবে একই সঙ্গে তারা বলছে, ঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ করে, ভালভাবে বুঝিয়ে এবং খুব কম খরচেই বেশির ভাগ আত্মহত্যা ঠেকানো সম্ভব।