চাকরির প্রতারণায় ‘বিয়ের ফাঁদ’

আগস্ট ২৫, ২০১৫

গ্রেপ্তারকৃত ওই চার জনের মধ্যে দুই জন বিমান বাহিনীর সাবেক সদস্য।

তারা হলেন- বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সিভিল স্টাফ মো. জহিরুল ইসলাম এবং তাদের দুই সহযোগী মো. স্বপন হোসেন ও মো. এনামুল হক লিটন।

সোমবার রাতে ওই অভিযানে প্রতারণার শিকার ৪৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের বিমানবাহিনীতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদের কাছে বিপুল সংখ্যক রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও সিল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু রেভিনিউ স্ট্যাম্পে সইও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, চার জনের কাছ থেকে বিভিন্ন কলেজের প্রভাষক, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা সহকারী গেজেটেড অফিসার, সরকারি ডাক্তার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যাক্তির ৫০টি সিল, ৪৬টি একশ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ৬০টি এমওডিসি (মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কনেস্টেবল) পদে চাকুরির আবেদন ফরম এবং চাকরিপ্রার্থীদের ৫২টি মেডিকেল রিপোর্টের নথি উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, বিমানবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে উদ্ধার যুবকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করার পরিকল্পনা করেছিল তারা।

“চাকরি পেতে ইচ্ছুক এই যুবকদের কাছে প্রথমে ৫/৬ হাজার টাকা নিয়ে পল্লবীর একটি বাড়িতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আটকে রেখেছিল তারা।

“যুবকদের বলা হয়েছিল বগুড়ায় বিমানবাহিনীতে চাকরির পরীক্ষায় তারা কেবল অংশ নিলেই চলবে। ছয় লাখ টাকা দিলেই তাদের চাকরি নিশ্চিত হবে। এজন্য প্রতারকরা আগে থেকেই ভুয়া নিয়োগপত্রও তৈরি করে রেখেছিল।”

নাজমুল আলম বলেন, “ওই যুবকদের প্রত্যেককে প্রতারকচক্রের সদস্যরা নিকাহনামায় স্বাক্ষর করিয়ে রেখেছিল। কেউ চাকরি পাওয়ার পর টাকা দিতে অস্বীকার করলে নিকাহনামা ব্যবহার করে প্রতারকচক্রের নারী সদস্যদের দিয়ে নারী নির্যাতনের মিথ্য মামলা করে বিমানবাহিনীকে সরবরাহ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তারা।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.