তথ্য প্রযুক্তি নয়, মন্ত্রীর পক্ষের মামলায় প্রবীর শিকদার গ্রেফতার
আগস্ট ১৮, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: তথ্য প্রযুক্তি আইনে প্রবীর শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়নি। তার (প্রবীর শিকদার) মৃত্যুর জন্য অন্য একজনকে দায়ি করার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে প্রচারণার মামলায় সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়নি।
প্রবীর শিকদারের মতো একজন প্রবীণ সাংবাদিককে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে কেনো গ্রেফতার করা কেনো হলো জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় মন্ত্রীর পক্ষে জিডি হয়েছে।সে মারা গেলে আমি (স্থানীয় সরকার মন্ত্রী) দায়ি থাকবো সে কারণে জিডি। সে জন্য জিডি হয়েছে, এটিই মূল কারণ তাকে (প্রবীর শিকদার) ধরার।
ফেসবুকে লেখা তাকে গ্রেফতারের মূল কারণ নয়। ফেসবুকে তো অনেকেই লিখছে, যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি সাংবাদিক প্রবীর শিকদার ফেসবুকে গত ১০ আগস্ট একটি স্টেটাসে লিখেছেন, ‘আমার জীবন শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’ শিরোনামের একটি স্ট্যাটাসে লেখেন- “আমি খুব স্পষ্ট করেই বলছি, নিচের ব্যক্তিবর্গ আমার জীবন শংকা তথা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবেন : ১. এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন শমসের, ৩. ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিন জনের অনুসারী-সহযোগীরা।”
মৃত্যুর আশঙ্কায় থানা জিডি না নেওয়ায় এই পোস্ট দেন প্রবীর শিকদার। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পক্ষে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়। এই জিডির প্রেক্ষিতে প্রবীর শিকদারকে গেফতার করে পুলিশ।
প্রবীর শিকদার জীবনের আশঙ্কায় থানায় ডিজি করতে গেলে পুলিশ ডিজি নেয়নি কোনো জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ জিডি না নিলে স্থানীয় এসপিকে জানাতে পারতেন, আইনের আশ্রয় নিতে পারতেন।
ঢাকাf জার্নাল, আগস্ট ১৮, ২০১৫
এসএমএ/