দু’একদিনের মধ্যে মায়ের কোলে ফিরছে গুলিবিদ্ধ শিশু

আগস্ট ১৪, ২০১৫

Child of Nazmaঢাকা জার্নাল: মাগুরায় সন্ত্রাসী হামলায় মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়া দু’একদিনের মধ্যেই মায়ের কোলে ফিরছে। আজ-কালের ভেতরেই তাকে মায়ের সঙ্গে সাধারণ কেবিনে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাতে শিশু সুরাইয়ার মা নাজমা বলেন, আজকেই সুরাইয়াকে আমার সঙ্গে দেওয়ার কথা ছিল। সেজন্য বেবি বেডও প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ হলো না, তবে দুই-একদিনের মধ্যেই বেবি আমার কোলে ফিরবে। আমার বুকে আসবে।

তিনি আরও বলেন, এখন আমি নিজে গিয়ে নিয়মিত ওকে দুগ্ধ পান করাচ্ছি। সে সরাসরি দুগ্ধ পান করছে। কোনো সমস্যা আমি দেখছি না। সুরাইয়া আগের চেয়ে অনেক শক্তি সঞ্চয়ও করেছে জানান মা।

ক্ষোভ প্রকাশ করে মা নাজমা বলেন, এখনও প্রধান আসামি দুইজন ধরা পড়েনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এছাড়া সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় ৪৮নং কেবিনে রয়েছেন শিশু সুরাইয়ার মা নাজমা। আর শিশুটি এখন রয়েছে ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (এনআইসিইউ)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী বাংলানিউজকে বলেন, শিশু সুরাইয়া এখন সব দিক দিয়ে ভালো আছে। ওজনও আগের চেয়ে বেড়েছে ওর। চোখে সামান্য একটু সমস্যা থাকলেও চিকিৎসকরা নজরে রেখেছেন, আশা করছি সেটিও ঠিক হয়ে যাবে।

ডা. কানিজ শিউলী আরও বলেন, বেবিকে বৃহস্পতিবার মায়ের কোলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে একটু অপেক্ষা করলাম আমরা, আশা করছি রোববার (১৬ আগস্ট) সকালেই বেবি সুরাইয়াকে তার মায়ের বুকে তুলে দিতে পারবো। আর সব কিছু ঠিক থাকলে তার ঠিক ২/৩ দিন পর সুরাইয়া নিজ বাসায় ফিরে যাবে।

২৩ জুলাই মাগুরা শহরে যুবলীগের সমর্থক দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হন যুবলীগ কর্মী কামরুল ভূঁইয়ার বড় ভাইয়ের গর্ভবতী স্ত্রী নাজমা খাতুন ও চাচা মমিন ভূঁইয়া। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন রাতেই অস্ত্রপচারের মাধ্যমে মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটির জন্ম হয়। আহত মমিন ভূঁইয়া শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাতে মারা যান।

পরে গুরুতর আহত শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা করা হয়েছে। তবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন ঘটনার মূল হোতা আজিবর ও আলী।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১৩, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.