বৃষ্টিতে পিছিয়েই দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

জুলাই ২২, ২০১৫

innings_breakঢাকা জার্নাল: বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় সেশনের খেলা। দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতির পর মাত্র ৪ ওভার খেলা সম্পন্ন হয়। বিকেল চারটার দিকে দ্বিতীয়বার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টি হানা দেওয়ায় পরিত্যক্ত হয়ে যায় দিনের বাকি খেলা।

এর আগে দুপুর ৩টা ১২ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ফেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়ররা। বৃষ্টি থামার পর বিকাল ৪টার দিকে আবারও দিনের বাকি সময়ের খেলা শুরু হয়। মাত্র এক বল হওয়ার পরই বৃষ্টি হানা দেয় স্টেডিয়ামে।

দ্বিতীয় দিনে মোট ৬৫ ওভার খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ১৭৯ রান। মুশফিকুর রহিম ১৬ ও সাকিব আল হাসান ১ রানে অপরাজিত থাকায় ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

প্রথম টেস্টের তৃতীয় ও শেষ সেশনে ব্যাট করছে টাইগাররা। সফরকারী দ. আফ্রিকার থেকে প্রথম ইনিংসে এখনও ৬৯ রান পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা।

প্রথম সেশন থেকে টাইগারদের আসে ৭৩ রান। প্রথম সেশনে ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হকের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে দু’টি উইকেট হারালেও দিনের দ্বিতীয় সেশনে শুধু তামিম ইকবালের উইকেট হারায় টাইগাররা। দ্বিতীয় সেশনেও স্বাগতিকদের আসে আরও ৭৩ রান।

এর আগে দলীয় ৪৬ রানের মাথায় ইনিংসের ১৯তম ওভারে অনিয়মিত বোলার স্টিয়ান ভ্যান জিলের দ্বিতীয় বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। ভ্যান জিলের ব্যক্তিগত প্রথম ওভারে আউট হওয়ার আগে ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি ইমরুল। ৭৩ বল মোকাবেলা করে এ বাঁহাতি ওপেনার তিনটি চার হাঁকান।

দলীয় ৫৫ রানের মাথায় সিমন হারমারের দারুণ এক ঘূর্ণিতে বলের লাইন মিস করে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন মুমিনুল হক। তামিমের সঙ্গে মাত্র ৯ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৬ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল।

দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক হাঁকানো তামিম ইকবাল ডিন এলগারের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। আউট হওয়ার আগে তিনি ১২৯ বলের মোকাবেলা করে তিনটি চারের সাহায্যে করেন ৫৭ রান। সাজঘরে ফেরার আগে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে তামিম জুটি গড়েন ৮৯ রান।

দলীয় ১৭৮ রানের মাথায় বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। ভারনন ফিল্যান্ডারের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম অর্ধশতক হাঁকানো মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে টাইগারদের এ নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৬৭ রান। ১৩৮ বলের মোকাবেলা করে রিয়াদ দশটি চার হাঁকান। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তিনি ৩৪ রানের জুটি গড়েন।

দুপুর ৩টা ১২ মিনিটে বৃষ্টি নামলে ৬৬.৫ ওভারে খেলা থামিয়ে দেন ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা।

২৪১ রান পিছিয়ে থেকে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করে টাইগার বাহিনী। আগের দিনের দুই অপরাজিত ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস দিনের শুরু করেন। প্রোটিয়াদের গতি-দানব ডেল স্টেইন আর ভারনন ফিল্যান্ডারকে বেশ সাবলীল ভাবেই মোকাবেলা করেন টাইগার দুই ওপেনার।

প্রথম টেস্টের প্রথম দিন অলআউট হওয়ার আগে দ. আফ্রিকা ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায়। মুস্তাফিজুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, মোহাম্মদ শহীদদের বোলিং তোপে প্রোটিয়ারা ৮৩.৪ ওভার ব্যাট করতে সক্ষম হয়।

প্রতিপক্ষকে ২৪৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ৪১ টেস্ট খেলা তামিম ইকবাল আর ২৩ টেস্ট খেলা ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দিন শেষ করে।

কার্টার মাস্টার মুস্তাফিজ আর স্পিন জাদুকর জুবায়ের হোসেনের দুটি ভয়াল স্পেলে দ. আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে যায়। টাইগারদের হয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। আর তিনটি উইকেট দখল করেন জুবায়ের হোসেন। এছাড়া সাকিব, মাহামুদুল্লাহ, তাইজুল একটি করে উইকেট পান।

প্রোটিয়ারা প্রথম দিনের প্রথম সেশনে এক উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ৬১ রান তুলতে সক্ষম হয় আমলা বাহিনী। ৫৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট খোয়ানো সফরকারীরা দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায়। ১৭৩ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারানো দ. আফ্রিকা এক মুহূর্তেই একই রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। সেখান থেকে ২৪৮ রানের মাথায় তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়।

প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে নামা তেমবা বাভুমার ব্যাট থেকে। এছাড়া ফাফ ডু প্লেসিস ৪৮ ও ওপেনার ডিন এলগার ৪৭ রান করেন।

ঢাকা জার্নাল, ২২ জুলাই ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.