ব্লগে অপরাধ ঠেকাতে নতুন আইন

জুন ১০, ২০১৫

ICT_Anisulঢাকা জার্নাল: ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট অপরাধ ঠেকাতে নতুন আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পাশাপাশি ২০০৬ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৯ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘তথ্য প্রযুক্তি আইন-২০০৬’ নিয়ে আলোচনাকালে এ তথ্য দেন আইনমন্ত্রী। লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ‘আরিটকেল নাইনটিন’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আনিসুল হক বলেন, ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বর্তমানে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব অপরাধ প্রতিরোধে নতুন আইন করা হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্লগার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে হুমকির পর অভিজিৎসহ চারজন ব্লগার ও লেখককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

তথ্য প্রযুক্তি আইন-২০০৬ সংশোধন বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৪৬ ধারা এবং ৫৭ ধারা সংশোধন করে আইনটি যুগোপযোগী করা হবে।

আইনের ৪৬ ধারায় কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার করে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াস ঠেকানোর কথা বলা হয়েছে।

আইনের ৪৬ ধারা
‘৪৬। (১) নিয়ন্ত্রক যদি এই মর্মে সস্তুষ্ট হন যে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, নিরাপত্তা, অন্যান্য বিদেশি রাষ্ট্রের সহিত বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে বা এই আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য কোনো অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা প্রতিরোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করা সমীচীন ও প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি, লিখিত কারণ উল্লেখপূর্বক, আদেশ দ্বারা, সরকারের কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কোনো কম্পিউটার রিসোর্সের মাধ্যমে কোনো তথ্য সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আদেশ জারী করা হইলে, উক্ত আদেশে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসারে কোনো গ্রাহক বা কম্পিউটার রিসোর্স এর তত্ত্বাবধায়ক উক্ত সংস্থাকে কোনো তথ্য উম্মোচন (decrypt) করিবার জন্য সকল সুবিধা এবং কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।’

আইনের ৫৭ ধারায় ওয়েব সাইটের মাধ্যমে মিথ্যা ও অশ্লীল, বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার বিষয় উল্লেখ করা হয়।

আইনের ৫৭ ধারা
‘৫৭। (১) কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি ১ [অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

ঢাকা জার্নাল, জুন ০৯, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.