ভেজাল ও ফরমালিনে জনস্বাস্থ্য হুমকির সন্মুখীন : প্রধানমন্ত্রী

মার্চ ১২, ২০১৪

PM_3_03.05.2013_Kallol_bg_514409479অসৎ বিক্রেতারা খাদ্যে ভেজাল ও ফরমালিন মেশানোর কারণে জনস্বাস্থ্য ক্রমান্বয়ে হুমকির সন্মুখীন হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তা কঠোর হস্তে দমনের জন্য ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ প্রণয়ের উদ্যোগও নিয়েছে সরকার। আইনটির খসড়া সংসদ ও লেজিসলেটিভ বিভাগে ভেটিংয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।       

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারতি মৌখিক উত্তরে এ সব তথ্য দেন শেখ হাসিনা।

সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার তার লিখিত প্রশ্নে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কতিপয় অসৎ বিক্রেতা বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও খাদ্যে ভেজাল ও ফরমালিন মিশিয়ে অপরাধ করছে। সরকার কঠিন হস্তে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিয়েছে।

এজন্য সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রণয়ন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় কর্তৃক ফরমালিন আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

খাদ্য-পণ্যে ভেজাল প্রতিরোধ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০টি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করার জন্য আমেরিকা থেকে ৩টি ফরমালিন সনাক্তকরণ মিটার সংগ্রহ করা হয়েছে।

 

ভেজাল বিরোধী অভিযান কার্যক্রমের আওতায় ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল হতে ২০১৪ সালে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৫০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার ৯০০ টাকা জরিমান আদায় করা হয়েছে। শুধুমাত্র ফরমালিন মিশানোর কারণে ১৮৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

খাদ্যে ফরমালিনের অপব্যবহার রোধে সরকার কঠোর শাস্তির বিধানসহ ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে খসড়া আইনটি লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে ভেটিংয়ের জন্য প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.