ডিইউজে’র নতুন সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ
জানুয়ারি ৩১, ২০১৪ আওয়ামী পন্থী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে আলতাফ মাহমুদ সভাপতি ও কুদ্দুস আফ্রাদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতিপদে আলতাফ মাহমুদ ১হাজার ১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফরুক পেয়েছেন ৫৫৮ ভোট।
৮৬৬ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুর রহমান চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তরুণ তপন চক্রবর্তী ৬১৭ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে কুদ্দুস আফ্রাদ পেয়েছেন ৮২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাবান মাহমুদ পেয়েছেন ৭৪৬ ভোট।
এ ছাড়া যুগ্ন সম্পাদক পদে গাজী জহিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শাহানা শিউলি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিম, জনকল্যাণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান ও দপ্তর সম্পাদক পদে জিএম মাসুদ ঢালী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে নির্বাহী পরিষদ সদস্য হয়েছেন অনুপ খাস্তগীর, অমিয় ঘটক পুলক, পলি খান, মামুন আবেদিক, শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু। বিজয়ী এই প্রার্থীরা সবাই আলতাফ-কুদ্দুস পরিষদের।
এ ছাড়া ফারুক-শাবান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সোহেল হায়দার চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক পদে রফিক আহমেদ জয়ী হয়েছেন। নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে জয়ী হয়েছেন লায়েকুজ্জামান, শামীমা আক্তার ও শাহনাজ বেগম।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। ভোট পড়েছে প্রায় ১৬১২টি। এবার ভোটার সংখ্যা ছিল ২৫৩৯ জন।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হয়েছে এই ভোটগ্রহণ।
যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করেন:
আলতাফ-কুদ্দুস পরিষদের প্রার্থীরা ছিলেন সভাপতি আলতাফ মাহমুদ (দৈনিক ডেসটিনি), সহসভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী (যুগান্তর), সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ (আনন্দবাজার-কলকাতা), যুগ্ম সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম (সি নিউজ ডট কম), কোষাধ্যক্ষ শাহানা শিউলী (মাছরাঙা টিভি), সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল আলম (সমকাল), প্রচার সম্পাদক শাহিন বাবু (বিটিভি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সলিম উল্লাহ সেলিম (বাসস), জনকল্যাণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান (জিটিভি) এবং দফতর সম্পাদক জি এম মাসুদ ঢালী (মাই টিভি)।
এই প্যানেলে নির্বাহী সদস্য লড়েছেন অনুপ খাস্তগীর (বাসস), অমিয় ঘটক পুলক (দি নিউ নেশন), আকতার হোসেন (আর টিভি), আবুল কালাম (ইত্তেফাক), আশীষ কুমার সেন (আজকালের খবর), ইব্রাহিম খলিল খোকন (তারকালোক), পলি খান (দৈনিক জনতা), মামুন আবেদীন (ভোরের কাগজ) এবং শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু (নয়া দিগন্ত)।
ফারুক-শাবান পরিষদের প্রার্থীরা ছিলেন সভাপতি ওমর ফারুক (বাসস), সহসভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তী (দি ডেইলি সান), সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ (বাংলাদেশ প্রতিদিন), যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মজিদ (বৈশাখী টেলিভিশন)।
এছাড়া ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. মফিজুর রহমান খান বাবু (দৈনিক সংবাদ প্রতিক্ষণ), জনকল্যাণ সম্পাদক মীর আফরোজ জামান (ভোরের কাগজ), দফতর সম্পাদক হেমায়েত হোসেন (দিন নিউ নেশন), কোষাধ্যক্ষ মো. মফিজুল ইসলাম (দি ইন্ডিপেনডেন্ট), সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী (দৈনিক মানবকণ্ঠ), প্রচার সম্পাদক রফিক আহমেদ (আমাদের অর্থনীতি) প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
এই প্যানেলে নির্বাহী সদস্য পদে লড়েন জহিরুল হক (আজকাল-ভারত), এ এম শাহজাহান মিয়া (দৈনিক ইত্তেফাক), জাহাঙ্গীর খান বাবু (দৈনিক জনতা), প্রণব কুমার মজুমদার (দৈনিক শিরোনাম), মো. জাহিদ সিদ্দিকী (চ্যানেল আই), লায়েকুজ্জামান (দৈনিক সকালের খবর), শামীমা আক্তার (৭১ টিভি), শাহনাজ বেগম (দি ইন্ডিপেনডেন্ট) ও সুদীপ কুমার ঘোষ (এটিএন নিউজ)।