সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার শপথ সোমবার

নভেম্বর ১৭, ২০১৩

President-PM-at-bangabhaban.17.11.2013ঢাকা জার্নাল: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার বিকালে শপথ নেবেন নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

রোববার রাতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার বিকাল ৩টায় এই শপথ হবে।

নির্বাচনকালীন সরকারের ধরন নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের বিরোধে রাজনৈতিক সঙ্কটের শঙ্কা এবং বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতার মধ্যেই এই শপথের উদ্যোগ নেয়া হলো।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিএনপি ‘সর্বদলীয়’ এই মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়ার কোনো ঘোষণা এখন পর্যন্ত দেয়নি। কারা এ মন্ত্রিসভায় থাকছেন, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবও কিছু বলেননি।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারেরও বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

“এই মন্ত্রিসভা হবে বর্তমানের চেয়ে আকারে ছোট। এর কাঠামো ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন।”

রাষ্ট্রপতি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এর সাফল্য কামনা করেছেন বলেও সচিব জানান।

মোশাররাফ হোসাইন জানান, ‘নতুন কয়েকজন’ মন্ত্রী সোমবার শপথ নেবেন বলে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কারা শপথ নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কয়জন, কে, কে শপথ নেবেন এটা বলা সম্ভব নয়। প্রয়োজনও নেই।”
সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানান। প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা করেন তারা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কাজী ফকরুদ্দীন আহমেদ, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব মনজুর হোসেন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরলেই সর্বদলীয় সরকার গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে। আর এ সরকার গঠনের জন্য গত সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।

ওই পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “পদত্যাগপত্রগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে রয়েছে। উনি সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।”

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পর থেকেই ওই পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গত ২৬ অক্টোবর বিরোধী দলীয় নেতাকে আলোচনার জন্য গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সে সময় হরতালের কারণ দেখিয়ে পরে আমন্ত্রণ রক্ষার কথা জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তবে তাদের সেই সাক্ষাৎ আর হয়নি।

আগের তিন সপ্তাহে দশ দিন হরতাল করার পর এ সপ্তাহেও ১৮ দলীয় জোট নতুন করে হরতাল দিতে পারে বলে বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে ইংগিত দেয়া হয়েছিল। তবে সর্বশেষ শনিবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.