বিএনপির ৪ মহিলা এমপি আটক
মার্চ ৭, ২০১৩ পরে ওই সংসদ সদস্যরা রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকে। এসময় পুলিশ তাদের আটক করে তাদের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
আটককৃত সংসদ সদস্যরা হলেন- রেহেনা আক্তার রানু, শাম্মী আক্তার, সৈয়দা আশিয়া আশরাফি পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা।
পরে চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে লাফিয়ে পড়েন সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এসময় শামীমা আক্তার নামে এক পুলিশ সদস্যও আহত হন।
তখন শাম্মী আক্তার বলেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার জন্য পুলিশ গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরেছে।’
পরে আবার তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান বলেন, ‘তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ তবে তিনি আটকের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
এদিকে তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আটক চার এমপিকে ছেড়ে না দেয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘চার মহিলা এমপিকে এভাবে আটক করা ন্যাক্কারজনক। তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় এর দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।’
আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হরতাল চলছে, হরতাল চলবে। আন্দোলন আরও তীব্র হবে। এক দফার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তাতে সরকারের টনক নড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হরতাল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। আমরা আশা করেছিলাম সরকার নিপীড়ন নির্যাতন বন্ধ করবে। কিন্ত তা না করে মহিলা এমপিদের আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।’
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী গণহত্যা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ঘোষিত গণবিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে বুধবার সারা দেশে বাধা দান ও সমাবেশে ব্যাপকভাবে গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা এ হরতাল ডাকে।
একইসঙ্গে হরতালের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি-জামায়াত পৃথকভাবে একই দিনে হরতালের ডাক দিলেও ১৮ দলীয় জোট সম্মিলিতভাবে এ হরতাল পালন করছে।
মার্চ ৭ ৭ , ২০১৩।