সাভারে ভবন ধস: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯৩৮ লাশ উদ্ধার
ঢাকা জার্নাল: সাভারের ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৬১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসের ১৬তম দিনে উদ্ধার করা মরদেহের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৩৮ জনে। এর মধ্যে ৬৬৫ জনের মৃতদেহ শনাক্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে অধরচন্দ্র মাঠে রাখা হয়েছে ১০২টি, ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে ১০০টি এবং আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে ৬৪টি লাশ।
ঘটনাস্থলে স্থাপিত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, বৃহস্পবার ভোর থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৬১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ১৭১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বুধবার উদ্ধারকাজের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর জিওসি দু’একদিনের মধ্যে ভারী যন্ত্রপাতির কাজ শেষ করার ঘোষণা দিলেও বৃহস্পতিবার আবার জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মৃতদেহ পাওয়া যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলবে।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, এখন যেসব লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই গলিত, অর্ধগলিত। ফলে মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে। এতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত ও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৭ জন শ্রমিককে।
সাভারের মর্মান্তিক এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে দেশের পোশাকশিল্প। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সমালোচনায় মুখর হয়েছে। এমনকি বিদেশি ক্রেতাদের কয়েকটি পোশাক কারখানার পরিবেশ ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক পোশাক শ্রমিকের প্রাণহানি হয়।