সোয়ানের শ্রমিকদের ঈদ এবার রাজপথে
ঢাকা জার্নাল: ঈদের দিনেও সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন সোয়ান শ্রমিকেরা। আর বেতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, এবার তাদের ঈদ উদযাপন হবে রাজপথেই।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ব্যানারে গত ১২ জুলাই সকাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
ওইদিন সকাল থেকে সোয়ানের এক হাজার ৩০০ শ্রমিকের তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন প্রায় ৪০০ শ্রমিক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সোয়ান গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আত্মহত্যা করলেও আরো তিনজন পরিচালক আছেন। তারা শ্রমিকের বেতনের ব্যবস্থা করতে পারতেন। তা ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয় মালামাল ক্রোক করে শ্রমিকের মজুরি দিতে পারতো। কিন্তু ছয়দিন আন্দোলনের পরেও এখনও তারা বকেয়া বেতন পাননি। যার ফলে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা নেই। আগামীকাল ঈদের দিনেও আমরা এখানে অবস্থান করবো এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। ঈদ উদযাপন হবে রাজপথেই।
সংবাদ সম্মেলনের আগে চলমান আন্দোলন থেকে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে রাজপথে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়। দুপুরে চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
শ্রমিকদের চলমান এ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), যুব ইউনয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, প্রগতিশীল ছাত্রজোট, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্তকার্স পার্টি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, জাতীয় গণফ্রন্ট, সমাতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) শ্রমিকদের এ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে তাদের বেতন বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কামাল কামাল লোহানী ও অধ্যাপক এম এম আকাশসহ দেশের বিশিষ্ট ২৯ নাগরিক।
চলমান আন্দোলনে শ্রমিক নেতা জিয়াউল কবির খোকন বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করা অন্যায়। বেতনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি। অন্যথায়, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে শ্রমিকদের সঙ্গে রাজপথে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মিন্টু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, শ্রমিক নেতা নূর ইসলাম, মো. শাহীন ও জয়নাল আবেদীন।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১৭, ২০১৫