শিশু রাজন হত্যায় জড়িত কামরুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা জার্নাল: সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যার ঘটনায় জড়িত সৌদি আরব প্রবাসী কামরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পুলিশ।
রাজনকে নির্মমভাকে নির্যাতন করার ভিডিওচিত্র দেখে কামরুলের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয়ে রোববার (১২ জুলাই) বিকেলে পুলিশ এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঢাকাস্থ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কামরুলের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বেতারবার্তা ও চিঠি দিয়েছি।
এছাড়া, রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুহিত আলমের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন সোমবার (১৩ জুলাই) রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শিশুটিকে নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় জড়িত অন্যদের নামও প্রকাশ করেছেন গ্রেফতারকৃত মুহিত আলম। জড়িতরা হলেন- মুহিতের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম, তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে হত্যার পর একটি মাইক্রোবাস যোগে (ঢাকা মেট্টো-চ-৫৪-০৫১৬) শিশু রাজনের মরদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় শহরতলীর কুমারগাঁও এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় এ খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মুহিত আলমকে আটক করে জালালাবাদ থানা পুলিশ। আটকের পর মুহিত পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় জবানবন্দিতে রাজন হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
নিহত রাজন কুমারগাঁও বাসস্টেশন সংলগ্ন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে।
এদিকে, রাজনকে হত্যার আগে নির্মমভাবে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র প্রকাশ নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওচিত্রটি এখন মোবাইলের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১২, ২০১৫