শিগগিরই দেশে ফিরছি: তারেক রহমান
ঢাকা জার্নাল: শিগগিরই দেশে ফেরার কথা জানালেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওমরা শেষে জেদ্দা বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী জড়ো হয়। তারেকের বিদায়বেলা অনেকে কেঁদে ফেলেন। তারেক রহমানও অশ্রুসিক্ত হন এবং স্বাভাবিক হয়ে নেতাকর্মীদের ধৈর্যধারণের জন্য বলেন।
সাবেক ছাত্রদল নেতা রকীবুল ইসলাম বকুলকে জড়িয়ে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘কেঁদো না। শিগগিরই দেশে ফিরে আসবো। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে যে কোনো মূল্যেই আমাকে ফিরতে হবে।’
গত ২০ জুলাই সৌদি সফরে যান বেগম খালেদা জিয়া। আর লন্ডন থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সৌদি যান তারেক রহমান। সাতদিন একসঙ্গে থেকেই ইবাদত-বন্দেগি আর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সময় কাটান মা ও ছেলে।
মদীনায় আল ইমান হোটেলে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠকে মিলিত হন খালেদা জিয়া। সাংগঠনিক কিছু সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন তারা। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারেক রহমান।
শুক্রবার মক্কার পবিত্র বায়তুল্লাহ শরিফে জুমাতুল বিদার নামাজ আদায় এবং বিদায়ী তাওয়াফ শেষে ফিরে যান তারা। সফরসঙ্গীদের নিয়ে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তারা মক্কা ত্যাগ করেন। শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা পৌঁছেন। প্রায় একই সময়ে তারেক রহমান লন্ডনে পৌঁছান।
জেদ্দা বিমানবন্দরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে বিদায়শুভেচ্ছা জানান সৌদি আরব পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিব ও সৌদি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবদুর রহমান।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সৌদি আরব সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন, পশ্চিমাঞ্চল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম নান্নু, জেদ্দা মহানগর বিএনপি নেতা এমএ আজাদ চয়ন, কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন আল মারুফ, যুবদলের পশ্চিমাঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, জেদ্দায় দলের নেতা প্রিন্স আল লিনটন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এরশাদ আহমেদ, বিএনপি নেতা ওয়ায়েছ আহমেদ, মোজাম্মেল হোসেন রিপন, আনোয়ার জাহিদ, মোশাররফ হোসেন, আজাদ, শিপন, হানিস সরকার, রঞ্জু আহমেদ, আবদুস শহীদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহজাহান, আলমগীর হোসেন ও মেহেদী হাসান প্রমুখ।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৬, ২০১৪