Lead

২২ শর্তে আ.লীগকে সমাবেশের অনুমতি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে ২২ শর্তে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফ।

ডিএমপির চিঠিতে বলা হয়, ২২ জানুয়ারি করা আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সমাবেশের অনুমতি প্রদান করা হলো। ডিএমপি দেওয়া শর্তগুলো হচ্ছে—

(১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

(২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

(৩) অনুমোদিত স্থানেই ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

(8) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

(৫) স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।

(৬) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশগেটে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশ স্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

(৭) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভেহিক্যাল স্ক্যানার বা সার্চ মিররের (আয়না) মাধ্যমে শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ স্থলে আগত সব যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে।

(৮) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ স্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।

(৯) শব্দদূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

(১০) অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

(১১) আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

(১২) শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ শুরুর ২ ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।

(১৩) ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আনতে পারে, এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

(১৪) শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

(১৫) কোনও অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

(১৬) পার্কিং এর জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।

(১৭) আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

(১৮) রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

(১৯) উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

(২০) আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

(২১) উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

(২২) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ (ডিএমপি) কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।