সাত তরুণকে স্বপ্ন দেখালো গ্রামীণ ফোন
ঢাকা জার্নাল: দেশের সাত তরুণ-তরুণীকে জীবন বদলানোর স্বপ্ন দেখালো গ্রামীণ ফোন। আর এই তরুণ-তরুণীরা স্বপ্ন দেখাবে দেশ ও বিশ্বকে। এমনটাই জানালেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে হোটেল রেডিসন ব্লু-তে গ্রামীণ ফোনের আয়োজনে টেলিনর ইউথ ফোরামের চতুর্থ সংস্করণ নরওয়ের বৈশিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসলোর জন্য চূড়ান্ত প্রতিযোগী নির্বাচন অনুষ্ঠানে এ অভিমত ব্যক্ত করেন মেয়র।
নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় আয়োজিত টেলিনর ইউথ ফোরামের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এই সাত তরুণ-তরুণীর মধ্যে দু’জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। এরা হলেন- রাফসান শাবাব খান এবং রামিম আহমেদ।
বিশ্বের ১৩টি দেশের ১৮ থেকে ২৮ বছরের তরুণ-তরুণীদের জীবন বদলানোর ধারণা উপস্থানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন এই দুই প্রতিযোগী।
টেলিনর ইউথ ফোরাম-১০১৬ প্রতিযোগিতায় আসলোর জন্য নির্বাচিত হতে অনুষ্ঠানের অংশ নেন বিজয়ী রাফসান শাবাব খান এবং রামিম আহমেদ ছাড়াও আরো ৫ প্রতিযোগী। এরা হলেন- নূসরাত ফারজানা, মিয়াত মুই খাইজি (Myat Moe Khainge), ফারহান ফুয়াদ অরজিন, সাবরিনা রহমান, রহীম আহমেদ, এবং সামিদ রাজ্জাক। এই সাত প্রতিযোগী জীবন বদলানোর ধারণা উপস্থান করে প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বাছাইয়ে অংশ নেন।
ইউথ ফোরামে এ বছর ফোরামের স্লোগান ছিল ‘শান্তির জন্য ডিজিটালাইজেশন’। প্রত্যেক প্রতিযোগী স্লোগানকে সামনে রেখে জীবন বদলানোর নিজ নিজ ধারণা উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিজয়ী দুই প্রতিযোগীসহ মোট সাত প্রতিযোগীকে সম্মানণা তুলে দেন আনিসুল হক।
এ অনুষ্ঠানে আনিসুল হক তরুণ ও তরুণীদের উদ্দেশে বলেন, তোমারা কখনও থামবে না। জীবন মেরাথন দৌড়ের মতো। জীবনের রাস্তা ক্রিকেট পিচের মতো, তবে এই পিচের শুরু ও শেষ নেই। তখনই থামবে যখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু অর্জন করতে পারবে।
আনিসুল হক বলেন, জীবনের স্বপন বাস্তবায়ন করতে হলে হাঁটতে হয়। তোমরা আজ গ্রামীণ ফোন স্বপ্ন দেখালো। তোমরা যে উপস্থনা যে স্বপ্ন দেখালে তাতে আমার মনে হয়, তোমরা আনিসুল হকের মতো নয়, আরো বড় হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের হেড অফ কমিউনিকেশনস নেহাল আহমেদ বলেন, অল্প কয়েক বছরের মধ্যে টেলিনর ইউথ ফোরাম তরুণদের জন্য একটি সম্মানজনক বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির পূর্ণ সক্ষমতা প্রকাশে তাদের অনুপ্রানিত করছে।
আজকের বিজয়ীরা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের বিজয়ীদের সাথে অসলোতে তিনদিনের সম্মেলনে মিলিত হবে যেখানে তারা মোবাইল ও ডিজিটাল প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষমতাকে বোঝার এবং তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। তারা নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ারও সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রামীণফোন এবছরের জুলাই মাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের সূচনা বক্তব্য দেন। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী এবং আগ্রহী প্রতিযোগীদের ধারণা পত্র জমা দিতে আহবান জানায়।
ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৬