সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি: গণসঙ্গীতে যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর আনন্দ উদযাপন
যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁস কার্যকর করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে উদীচীর যুক্তরাষ্ট্র শাখা
রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় দুই যুদ্ধাপরাধীর সাজা কার্যকর উপলক্ষে আয়োজিত গণসঙ্গীতানুষ্ঠান থেকে এই অভিনন্দন জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র উদীচীর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের দিন যেমন খুশী ও আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিলাম, ঠিক একইভাবে আনন্দে আত্মহারা হয়েছি দুই শীর্ষ ঘাতক সাকা চৌধুরী এবং মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝোলানোর খবরে।
“খুশীর এ ঢেউ গোটা বাঙালির মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এজন্য প্রবাসের সর্বস্তরের বাঙালির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে অভিনন্দন।”
উদীচীর শিল্পীদের গণসঙ্গীতও পরিবেশ ফাঁকে ফাঁকে বক্তব্য দেন বিশিষ্টজনেরা।
উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জীবন বিশ্বাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপকে নস্যাৎ করতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। প্রবাসীদের সজাগ থেকে সে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে একাত্তরের চেতনায়।”
জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসররা বাংলাদেশকে মৌলবাদ আর জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
লেখক ও সমাজ সংগঠক বেলাল বেগ বলেন, “জিয়াউর রহমানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন রাজাকার শাহ আজিজ। সেই শাহ আজিজ বিএনপি সম্পর্কে সে সময় প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বিএনপির অর্থ হচ্ছে ‘বেসিক্যালি নট পলিটিক্যাল পার্টি’, অর্থাৎ বিএনপি সৃষ্টি হয়েছে জামায়াতকে রক্ষার জন্য। সময়ের বিবর্তনে এখন তা পরিষ্কার হচ্ছে।
“তাই বিএনপি আর জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের কালক্ষেপণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।”
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক ড. এম এ বাতেন, সমাজ সংগঠক নাসিুমন্নাহার নিনি এবং মুজাহিদ আনসারী, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মালেক প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।